
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর-জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ভারতের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে এ বিতর্কের শুরু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, তার সাক্ষাৎকারটি বিকৃতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে আসন ভাগাভাগি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্যই করেননি বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, ওই সাক্ষাৎকারের সূত্র ধরে জামায়াতে ইসলামী তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। মির্জা ফখরুলের কাছে তার বক্তব্যের প্রমাণ চেয়েছে।
সম্প্রতি ভারতের একটি গণমাধ্যমে মির্জা ফখরুলের একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেছেন, জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসন না দেয়ায় বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
এ খবরটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
আরও পড়ুন>>>মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তি নয়, সিদ্ধান্ত বোর্ডে
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপি মিডিয়া সেলের মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ বিষয়টি নিয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, আমি ভারতের গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এমন কোনো কথাই বলিনি। আমার বক্তব্যের অনেক অংশই বিকৃত করা হয়েছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমও ভুল ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে। দেশের মানুষকে এ ধরনের খবর বিশ্বাস না করার জন্য তিনি আহবান জানান।
মির্জা ফখরুলের নামে প্রচারিত এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতো একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের নামে এমন অসত্য ও প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় আমরা অবাক হয়েছি। এ বক্তব্যের সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, জামায়াতে ইসলামী কার কাছে এ ৩০টি আসন দাবি করেছে, তার প্রমাণ আমরা জাতির সামনে দেখতে চাই। মির্জা ফখরুলকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এর প্রমাণ উপস্থাপনের আহবান জানাচ্ছি।
অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী সবসময় তার নিজস্ব নেতৃত্বের অধীনে চলে। কারো কাছে আসন চাওয়ার রাজনীতি জামায়াত করে না।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মির্জা ফখরুল যদি তার এ বক্তব্যের পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন, তবে আমরা আশা করি তিনি সত্য স্বীকার করে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্যও আহবান জানানো হয়েছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।