
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত সংহতি সমাবেশে একাত্ম হয়ে ৪০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের গণঅধিকার পরিষদের সংহতি সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এ দাবি জানান।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের বিচার, জাপা ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, খেলাফত মজলিসসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দল সংহতি জানায়।
অবিলম্বে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধের জোর দাবি জানিয়ে নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তাদের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলীয় জোট শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার হতে সহযোগিতা করেছে।
তারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদ ফেরাতে জাতীয় পার্টি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে, এত অপরাধের পরেও এখন দেশকে অস্থির করতে নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের দোসর ও ভারতীয় এজেন্ট জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরওপড়ুন<<>>গণঅধিকার পরিষদকে নিষিদ্ধের দাবি জাপার
সমাবেশ শেষে নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারসহ ৩ দফা দাবি আদায়ে শপথ নেন সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা।
এদিকে, কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৮ দিনের মাথায় আবারও আক্রান্ত। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মিছিল নিয়ে হামলা চালায় একদল লোক। ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেন তারা।
হামলার সময় প্রধান কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবীর কর্মসূচি বিষয়ে প্রস্তুতি সভা করছিলেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। হঠাৎ আক্রমণে ছোটাছুটি শুরু করেন তারা। পরে পুলিশ এসে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও কাকরাইলে থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এই ঘটনার জন্য গণ অধিকার পরিষদকে দায়ী করেছে জাতীয় পার্টি।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।