
ড. আব্দুল মঈন খান। ফাইল ছবি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক ছাত্র নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়নি। তরুণ ছাত্র যারা সরকারের অংশ হয়ে যা ভাবছে, না ভাবছে, তাদের চিন্তা দেশের বাকি তরুণদের মতো নয়।
তিনি বলেন, আপনারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে দেখেন মানুষ কি বলে, তরুণরা কি বলে। কতিপয় তরুণের বক্তব্য গোটা বাংলাদেশের তরণদের বক্তব্য নয়। সারাদেশের তরুণদের আকাঙ্খাকে ভুলে গিয়ে নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব নয়।
শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তারেক রহমানের রাজনীতি:গণঅভ্যুত্থানের সাবলিমিটি’ বই প্রকাশনা উৎসবের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. মঈন খান।
তরুণ প্রজন্মকে কেন্দ্র করে বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, তরুণ-যুবক, যারা ১৮ বছর বয়সে ভোটের অধিকার পায়। তারা গত ২০০৯ থেকে ২০২৫ দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের মৌলিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আজকে তারা ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন।
আরওপড়ুন<<>>আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কালো দিবস, সেদিন কী ঘটেছিল
ড. মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার দুটি উদ্দেশ্য ছিল—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু বারবার সে পথে ছন্দপতন ঘটেছে। প্রথম ছন্দপতন হয়েছিল ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম যদি ক্যান্টনমেন্টে না হয়ে থাকে, তাহলে কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে একদলীয় শাসন চাপিয়ে দিল—এ প্রশ্ন তুলতে হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেননি, তিনি সম্মুখ দরজা দিয়েই রাজনীতিতে এসেছেন। ছাত্ররা ভবিষ্যতের নেতা। কিন্তু প্রস্তুতি না নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে গেলে ভবিষ্যতে মহাসমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে ড. মঈন খান বলেন, কোটি কোটি মানুষ সরকারের কার্যক্রমে কেন হতাশ, সে প্রশ্ন আজ দেশের সামনে। দেরিতে হলেও নির্বাচনের সময় ঘোষণার পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএনপি কাজ করে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন, অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী, অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলাম।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।