Apan Desh | আপন দেশ

‘কিছু রাজনৈতিক দলের আচরণে স্বৈরাচারী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২৫, ২১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২০:৩২, ২১ আগস্ট ২০২৫

‘কিছু রাজনৈতিক দলের আচরণে স্বৈরাচারী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে’

ছবি: আপন দেশ

আগের স্বৈরাচারী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের ভয়ে ‘বিএনপির বিজয় ঠেকানোর’ চেষ্টা করেছিল। গত ১৬ বছরে তারা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন স্বৈরাচার-মুক্ত বাংলাদেশেও কিছু রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর আচরণে সে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যও যেন ‘বিএনপির বিজয় ঠেকানো’।  এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ এখনও ঝুঁকিমুক্ত নয়। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার গঠন না করা পর্যন্ত এ ঝুঁকি থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের মানুষ একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে ছিল। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটেছে। এখন দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>‘আমাদের শর্ত-দাবি না মানলে নির্বাচনে যাবো না’

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ-মুক্ত বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। এ সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন করার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেছে। তবে কিছু রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি এ নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের শর্ত বা মন্তব্য করে মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

তারেক রহমান বলেন, আপনারা হয়তো মনে রেখেছেন, আগের স্বৈরাচারী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের ভয়ে ‘বিএনপির বিজয় ঠেকানোর’ চেষ্টা করেছিল। গত ১৬ বছরে তারা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন স্বৈরাচার-মুক্ত বাংলাদেশেও কিছু রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর আচরণে সে একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যও যেন ‘বিএনপির বিজয় ঠেকানো’।

তিনি বলেন, যারা মনে করছেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে, সে আশঙ্কায় তারা বিভিন্ন কৌশল বা শর্ত তৈরি করছেন। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করুন। জনগণের শক্তির ওপর আস্থা রাখুন। জনগণের রায় যদি বিএনপির পক্ষে যায় তবে সে রায়কে ঠেকানোর চেষ্টা করবেন না।

পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, অনেকেই জাতীয় নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি (পিআর পদ্ধতি) নিয়ে কথা বলছেন। বিশ্বের অনেক দেশে এ পদ্ধতি চালু থাকলেও বাংলাদেশের জন্য এটি এখনো উপযুক্ত নয়।

তিনি বলেন, জনগণের অধিকার আছে এটি জানার যে তারা কাকে ভোট দিচ্ছে, কে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে যাচ্ছে। পিআর পদ্ধতিতে সরাসরি কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার সুযোগ থাকে না। 

তারেক রহমান বলেন, কিছু গণতান্ত্রিক দলের মধ্যে পিআর পদ্ধতি ও আরও কয়েকটি বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। যা গণতন্ত্রের জন্য ভালো। তিনি বিশ্বাস করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। যারা নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করছেন, তারা আসলে গণতন্ত্রের পথকে বাধাগ্রস্ত করছেন। পরাজিত স্বৈরাচারকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, কেউ যেন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় পরিচয় ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অতীতে দেখা গেছে, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বা তাদের উপাসনালয়ে হামলার পেছনে কোনো ধর্মীয় কারণ ছিল না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর পেছনে ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে, দল-মত-ধর্ম-দর্শন যার যার, রাষ্ট্র সবা"। ধর্ম যার যার, কিন্তু নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়