Apan Desh | আপন দেশ

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চেয়েছে ১২ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০৩, ৩ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৮:৩১, ৩ নভেম্বর ২০২৫

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চেয়েছে ১২ প্রতিষ্ঠান

ছবি: আপন দেশ

বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন করেছে ১২টি প্রতিষ্ঠান। সম্পূর্ণ ক্যাশলেস, ইন্টারনেট ও মোবাইল অ্যাপনির্ভর এ ব্যাংকগুলো স্মার্টফোন বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকদের ব্যাংকিং-সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। 

সোমবার (০৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু করে। মূলত আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ০২ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সেই হিসেবে রোববার (০২ নভেম্বর) ছিল আবেদন জমা দেওয়ার চূড়ান্ত দিন।

আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক-বাংলালিংক অ্যান্ড স্কয়ার, মৈত্রি ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারি ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক।

আরও পড়ুন<<>>‘ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ পাবেন না সাদপন্থিরা’

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে আর্থিক খাতে কার্যকারিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করা হবে। এ জন্য আলাদা শাখা, উপশাখা বা এটিএম বুথের প্রয়োজন হবে না; সব সেবা অ্যাপনির্ভরভাবে মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা প্রণয়ন করে। তখন  ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছিল ১২৫ কোটি টাকা, যা পরে সংশোধন করে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। প্রচলিত ব্যাংকের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।

মূলত প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষতা বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন সহজ করা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়া হবে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, এবং পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন অনুসারে।

আপন দেশ/এসআর

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়