ছবি: সংগৃহীত
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার আল-খোমস উপকূলে ২৬ বাংলাদেশি অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে দুটি নৌকা ডুবে গেছে। এ নৌ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট। পাশেই প্রায় অর্ধশত সুদানিসহ আরও একটি নৌকা ডুবে গেলেও কেউ হতাহত হয়নি।
রোববার (১৬ নভেম্বর) লিবিয়া রেড ক্রিসেন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপকূলীয় শহর আল-খোমসের কাছে এ নৌ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেড ক্রিসেন্টের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথম নৌকাটিতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ২৬ জন ছিলেন, যাদের মধ্যে চার জন মারা গেছেন।
দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন ৬৯ জন, তাদের মধ্যে দুজন মিশরের নাগরিক এবং বেশ কয়েকজন সুদানি নাগরিক ছিলেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয়। ওই নৌকায় আট জন শিশু ছিল বলে তথ্য দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।
ত্রিপোলির পূর্বদিকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরের উপকূলীয় শহর আল-খোমস ইউরোপগামী অবৈধ অভিবাসীদের অন্যতম কেন্দ্র।
২০১১ সালে নেটো-সমর্থিত গণবিক্ষোভে মোয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর থেকেই লিবিয়া পরিণত হয়েছে সংঘাত ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপমুখী মানুষের প্রধান ট্রানজিট রুটে।
আরও পড়ুন<<>>ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ
নৌকাডুবিতে নিহতদের মরদেহ মোড়ানো সারিবদ্ধ কালো ব্যাগের একটি ছবি প্রকাশ করেছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।
আরেক ছবিতে দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া মানুষগুলোকে কম্বল জড়িয়ে প্রাথমিক সেবা দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, লিবিয়ার কোস্টগার্ড ও আল-খোমস বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা নৌকাডুবির ঘটনার পর উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। শহরের পাবলিক প্রসিকিউশনের নির্দেশনায় মরদেহগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম বুধবার জানায়, আল বুরি তেলক্ষেত্রের একটি রাবারের নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৪২ জন নিখোঁজ হয়েছেন এবং তাদের মৃত বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। ওই তেলক্ষেত্র লিবিয়ার উত্তর–উত্তর-পশ্চিম সমুদ্র এলাকায় অবস্থিত।
অক্টোবরের মাঝামাঝি ত্রিপোলির পশ্চিম উপকূলে ৬১ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সেপ্টেম্বরে আইওএম জানায়, লিবিয়া উপকূলে ৭৫ সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌকায় আগুন লাগার পর কমপক্ষে ৫০ জন মারা যান।
যুক্তরাজ্য, স্পেন, নরওয়ে ও সিয়েরা লিওনের মত দেশগুলো গত সপ্তাহে জেনেভায় জাতিসংঘের এক বৈঠকে লিবিয়াকে তাদের আটককেন্দ্রগুলো বন্ধ করার আহবান জানায়। এসব কেন্দ্রে অভিবাসী ও শরণার্থীদের ওপর নির্যাতন, সহিংসতা ও হত্যার অভিযোগ করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































