Apan Desh | আপন দেশ

ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৯:৫৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা, ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ 

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শহরে আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। যখন-তখন হামলা চালিয়ে নিরিহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে দখলদাররা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দখলদার বাহিনী।

মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ইহুদি উৎসব পালনের সুযোগ দিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (১৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেবরনের পুরোনো শহর এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অবৈধ ইসরায়েলি বসতকারীদের ইহুদি ধর্মীয় উৎসব পালনের সুযোগ করে দিতে ইব্রাহিমি মসজিদ মুসলিমদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে বলে স্থানীয় কর্মীরা শনিবার জানিয়েছেন।

হেবরন ডিফেন্স কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা আরেফ জাবের আনাদোলুকে জানান, শুক্রবার সকাল থেকে পুরোনো শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ কারফিউ জারি রয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী পুরোনো শহরে প্রবেশের সামরিক চেকপয়েন্টগুলোও বন্ধ করে দিয়েছে এবং যাতায়াত সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

এর ফলে অনেক ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নিজ ঘরেও ফিরতে পারেননি এবং হেবরনের অন্য এলাকায় স্বজনদের বাড়িতে রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন। জাবের জানান, শুক্রবার রাত ও শনিবার সকাল— দুই দফায় শত শত অবৈধ বসতকারী ভারী সামরিক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুরোনো শহরে ঢুকে রাস্তায় “উসকানিমূলক” শোভাযাত্রা করেছে।

তিনি বলেন, এ কারফিউ আসলে ইব্রাহিমি মসজিদের বাকি অংশ পুরোপুরি দখলে নেয়ার এবং সেটি সিনাগগে রূপান্তরের ইসরায়েলি প্রচেষ্টার অংশ।

আরও পড়ুন<<>>ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৭

ফিলিস্তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের শুরু থেকে প্রতিদিন ইব্রাহিমি মসজিদের সুক গেট বন্ধ রাখছে এবং পূর্ব দিকের প্রধান গেটও বন্ধ করে রেখেছে। এমনকি জানালাগুলোও ঢেকে দিয়েছে।

ইব্রাহিমি মসজিদ হেবরনের পুরোনো শহরে অবস্থিত এবং এটি এখন পুরোপুরি ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে। এখানে প্রায় ৪০০ অবৈধ বসতকারী থাকে এবং তাদের পাহারা দেয় প্রায় ১৫০০ ইসরায়েলি সেনা।

১৯৯৪ সালে এক অবৈধ বসতকারীর হাতে ২৯ জন ফিলিস্তিনি মুসল্লি নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল মসজিদটিকে দুই ভাগে ভাগ করে। এ মসজিদের ৬৩ শতাংশ ইহুদিদের উপাসনার জন্য এবং ৩৭ শতাংশ মুসলিমদের জন্য। ইহুদিদের বরাদ্দ অংশে মসজিদের আজান দেয়ার ঘরটিও রয়েছে।

এছাড়া ইসরায়েলের একতরফা ব্যবস্থাপনায় বছরে ১০ দিন ইহুদি ধর্মীয় উৎসবের সময় মসজিদটি পুরোপুরি মুসলিমদের জন্য বন্ধ থাকে এবং ১০ দিনের ইসলামি উৎসবের সময় ইহুদিদের জন্যও মসজিদটি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মুসলিমদের জন্য নির্ধারিত পূর্ণ প্রবেশাধিকার আর বহাল রাখা হয়নি।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়