
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি আগ্রাসনে মৃত্যুপুরীতে পরিনত হওয়া অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ১০ ঘন্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দখলদাররা নিজেদের ঘোষিত বিশেষ এ যুদ্ধ বিরতি মানছে না। নির্ধারিত বিরতির মধ্যেই হামলা চালাচ্ছে তারা। ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ ত্রাণপ্রার্থী আরও অন্তত ৬৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ গাজার তিনটি এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল। মানবিক সহায়তার কাজ আরও সহজ করতেই এ বিরতি দেয়া হয় বলে জানায় তারা। এখন থেকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এবং পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত তা প্রতিদিন চালু থাকবে।
এদিন বার্তসংস্থা রয়টার্স জানায়, চলমান যুদ্ধের মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে গাজার কিছু অংশে সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে নতুন ত্রাণ করিডোর চালুর কথাও জানিয়েছে তারা।
রোববার ইসরিয়েলি সেনাবাহিনী জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটি এলাকায় তারা সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। এ এলাকায় মার্চ মাস থেকে নতুন করে স্থল অভিযান শুরু হয়নি।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার ও ওষুধবাহী গাড়িবহরের জন্য নির্ধারিত নিরাপদ পথও চালু থাকবে।
এদিকে মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত আল-কাহেরা নিউজ টিভি জানায়, রোববার থেকে মিসর সীমান্ত দিয়ে গাজার উদ্দেশে ত্রাণ পরিবহন শুরু হয়েছে। এর আগে, ইসরায়েল বিমান থেকে ত্রাণ ফেলাও শুরু করে বলে জানায়, যা তারা গাজার মানবিক পরিস্থিতি কিছুটা সহজ করতে নেয়া উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছে তারা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ জানায়, গাজায় মানবিক বিরতি ঘোষণার ফলে ত্রাণ সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে। তবে তারা অভিযোগ করে, ইসরায়েল তাদের গাড়িবহরের জন্য যথেষ্ট বিকল্প রুট দিচ্ছে না, যা ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।