Apan Desh | আপন দেশ

মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন কালীগঞ্জের চাষিরা

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাল্টা চাষে ঝুঁকছেন কালীগঞ্জের চাষিরা

ছবি: আপন দেশ

রাজধানী ঢাকার খুবই সন্নিকটের জেলা গাজীপুর। আর কালীগঞ্জ হলো জেলার একটি উপজেলা। মাটি, আবহাওয়া এবং ভূ-প্রকৃতি অনুকুলে থাকায় মিশ্র ফল বাগানে মাল্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন  কালীগঞ্জের চাষিরা। মাল্টা চাষের জন্য উচু শ্রেণির প্রয়োজন হয়। আর কালীগঞ্জের মাটি মাল্টা চাষের জন্য উপযুক্ত। এ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ভিটি বাঘুন গ্রামের মো. জামির হোসেন মাল্টা বাগান করে ব্যাপক সারা ফেলেছেন।

সরেজমিনে জাকির হোসেনের মিশ্র বাগানের গিয়ে মনোরম দৃশ্য দেখে মুহূর্তেই চোখ জুড়িয়ে যায়। বাগানে মাল্টা গাছে সবুজ রংয়ের শত শত মাল্টা দোল খাচ্ছে। মাল্টা ছাড়াও বাগানজুড়ে রয়েছে- বরই, পেয়ারা, লেবু, আমলকি, পেপে, জামবুরা, কলাসহ বাহারি রকমের ফলের চারা। তবে সবচেয়ে বেশি রয়েছে বারি-১ জাতের মাল্টা চারা।

মিশ্র ফল বাগানের স্বত্বাধিকারী চাষি মো. জামির হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আওতাধীন লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৭ বিঘা জমিতে ২০২০ সালে মাল্টা চাষ শুরু করি। কৃষি বিভাগ হতে ৩শ’ মাল্টার চারা দিয়ে বাগানের যাত্রা শুরু। পরে কাটিং কলমের মাধ্যমে চারার পরিমাণ বাড়িয়ে বর্তমানে সাত শতাধিক বারি-১ জাতের মাল্টার চারা রয়েছে।

আরওপড়ুন<<>>আদা চাষে সফলতার দ্বারপ্রান্তে সোহাগ

তিনি আরও বলেন, মাল্টার সাইজ ছোট হলে ৬/৭ টায় কেজি এবং বড় হলে ৪টায় কেজি। বাজারে পাইকারী প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং খুচরা প্রতি কেজি ৮০/১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরে ৩ বার সার প্রয়োগ করতে হয়। টিএসপি,পটাশ, ইউরিয়া এবং বোরন সার একসঙ্গে মিশিয়ে গাছের চারপাশে মাটিতে দিতে হয়। গত বছরের তুলনায় গাছ বেশ বড় হওয়ায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, সবুজ রংয়ের বারি-১ জাতের মাল্টা গাছে মার্চ মাসের দিকে মুকুল আসে এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি হতে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফলন শেষ হয়। মাল্টা একটি লাভজনক ফল হওয়ায় কৃষকরা মিশ্র ফল বাগানে মাল্টা চাষ করে থাকে। লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রাসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে মাল্টার আবাদ করা হয়ে থাকে। তারমধ্যে বারি-১ বা পয়সা মাল্টা জাতের পরিমাণ বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম খান এ প্রতিবেদককে জানান, গাজীপুরের মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। জেলায় ১০০ হেক্টরের বেশি জমিতে মাল্টা চাষ হয়েছে। ফল হিসেবে মাল্টা শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। ফলে বাজারের এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আধুনিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করলে ভালো ফলন সম্ভব। মাল্টা চাষের আধূনিক প্রযুক্তি বিষয়ে চাষিদের আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়