
ছবি: সংগৃহীত
ভিয়েতনামের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হালং উপসাগরে ভয়াবহ ঝড়ের মধ্যে পর্যটকবাহী একটি নৌকা উল্টে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আটজন শিশু। এখনো নিখোঁজদের উদ্ধারে তল্লাশি চলছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৯ জুলাই) দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে আসা ঝড় ‘উইফা’ উপকূলে আঘাত হানার সময় নৌকাটি উল্টে যায়। এসময় সেখানে প্রবল বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত হচ্ছিল। খবর: আল-জাজিরা
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ভিয়েতনাম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ভিয়েতনামের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ভিএনএক্সপ্রেস জানিয়েছে, অধিকাংশ যাত্রীই রাজধানী হ্যানয় থেকে আসা পরিবার। যাত্রীদের মধ্যে ২০ জনের বেশি শিশু ছিল। নিহতদের জাতীয়তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
উদ্ধার হওয়া এক ১০ বছর বয়সী শিশু ‘ভিয়েতনামনেট’-কে জানায়, আমি গভীর শ্বাস নিয়ে সাঁতার কেটে একটা ফাঁক দিয়ে বের হই, ডুব দিই, তারপর আবার ওপরে উঠি। আমি সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলাম, পরে সেনাবাহিনীর একটি নৌকা আমাকে তুলে নেয়।
নিখোঁজদের সন্ধানে রাতভর উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
সরকারি ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দেখা হবে এবং কারো গাফিলতি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হালং উপসাগর ভিয়েতনামের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। বছরের পর বছর লাখ লাখ মানুষ এর নীল-সবুজ পানি ও ঘনবন ঘেরা চুনাপাথরের দ্বীপ দেখতে আসেন।
এর আগে গত বছর টাইফুন ‘ইয়াগি’-এর আঘাতে হালং উপসাগর ঘেঁষা কোয়াং নিন প্রদেশে ৩০টি নৌকা ডুবে গিয়েছিল।
ঝড় ‘উইফা’র প্রভাবে হ্যানয়ে (হালং থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে) বেশ কিছু গাছ উপড়ে পড়ে এবং বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়। হ্যানয়ের নই বাই বিমানবন্দর জানায়, ঝড়ের কারণে নয়টি অবতরণকারী ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয় এবং তিনটি উড্ডয়নরত ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।