Apan Desh | আপন দেশ

জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা হলে করনীয়

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৫ জুন ২০২৫

জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা হলে করনীয়

ফাইল ছবি

জ্বর আজকাল বেশ উদ্বেগের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরজুড়ে হচ্ছে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকাসহ নানা রোগ। এবার তার সঙ্গে নতুন করে আবারও যোগ হয়েছে করোনা। সাধারণ ভাইরাস জ্বরেও তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি হতে পারে। জ্বর হলে শুরুতেই আতঙ্কিত হওয়া ঠিক নয়। বেশির ভাগ জ্বর এখনো ভাইরাসজনিত ও তেমন গুরুতর কিছু নয়।

ভাইরাস জ্বর প্রথম দিকে তীব্র ও কষ্টকর হলেও দ্রুতই ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর যদি অনেক দিন থাকে, তীব্রতা বেশি না হলেও সহজে ছেড়ে না যায়, সেসব জ্বরের কারণ শনাক্ত করতে কিন্তু সময় লাগে। সারতেও সময় লাগে। আবার এমন জ্বরের সঙ্গে নানা আনুষঙ্গিক উপসর্গও বেশ কষ্ট দেয়; যেমন শরীর, গিঁট ও পেশিতে ব্যথা।

কোন জ্বরে কেমন ব্যথা
চিকুনগুনিয়ায় জ্বরের সঙ্গে গিঁটে ব্যথা পরিচিত উপসর্গ। হাঁটু, কোমরসহ বড় গিঁটগুলোয় ব্যথা হয়। এমন সংক্রমণে জ্বরের চেয়ে ব্যথাই কষ্ট দেয় বেশি। অনেকে ব্যথার চোটে হাঁটতেই পারেন না, বাঁকা হয়ে হাঁটেন। জ্বর সেরে যাওয়ার পরও ব্যথা থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জয়েন্টে ব্যথা রয়ে যেতে পারে। তিন থেকে চার সপ্তাহ থাকতে পারে। এমনকি এর বেশিও।

ডেঙ্গুতে কিন্তু গিঁটে ব্যথা হয় না। তবে সারা শরীরে ব্যথা হয়। ডেঙ্গুতে মেরুদণ্ড ও কোমরেও খুব ব্যথা হয়। এ জন্য ডেঙ্গুকে ব্যাকবোন ফিভার বলা হয়। কারণ, এত ব্যথা হয়, মনে হয় কোমর ভেঙে যাচ্ছে। সাধারণত ডেঙ্গু সাত থেকে আট দিন পর ভালো হয়ে যায়। জ্বরের সঙ্গে ব্যথাও চলে যায়।

শরীরের নানা অংশে তীব্র ব্যথার পাশাপাশি এ দুই সংক্রমণেই শরীর খুব দুর্বল লাগে। কোনো কাজ করতে ইচ্ছা করে না। মাথাঘোরা, ক্লান্তি ও অবসাদ লাগে।

করণীয়
ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে উঠতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারা দিনে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ঘুম কম হলে ক্লান্তি ও শরীরে ব্যথা–যন্ত্রণা বাড়ে।

জ্বরে শরীরে অনেক ঘাম হয়। তাই পানির ঘাটতি হয়। শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে। এতে শরীরে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে। তাই যে কারণেই জ্বর হোক, অন্য সময়ের চেয়ে এক থেকে দেড় লিটার পানি ও পানীয় খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। শরীর থেকে যত বেশি টক্সিন বের করে দেওয়া যাবে, ততই শরীরের ব্যথা কমবে।

হালকা ফ্রি–হ্যান্ড এক্সারসাইজও করতে পারেন।

ব্যথার তীব্রতা বেশি হলে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন এনএসএআইডি বিপজ্জনক হতে পারে।

অত্যধিক ও একনাগাড়ে ব্যথা–যন্ত্রণা হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আপন দেশ/জেডআই

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়