Apan Desh | আপন দেশ

ইউনিসেফের প্রতিবেদন

দেশে সুষম খাদ্য সংকটে দুই-তৃতীয়াংশ শিশু

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৯, ৮ জুন ২০২৪

দেশে সুষম খাদ্য সংকটে দুই-তৃতীয়াংশ শিশু

বাংলাদেশে সুষম খাদ্য সংকটে দুই-তৃতীয়াংশ শিশু। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রতি তিনজন শিশুর মধ্যে দুইজনই সুষম খাদ্য সংকটে বাস করে। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ন্যূনতম যে পাঁচ ধরনের খাদ্য গ্রহণের সুপারিশ করেছে, প্রায় এক কোটি শিশু তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি ‘শৈশবকালীন খাদ্য সংকট: প্রারম্ভিক শৈশবে পুষ্টি বঞ্চনা’ শীর্ষক ইউনিসেফের নতুন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ইউনিসেফ বলছে, শৈশবকালীন পর্যাপ্ত সুষম খাবারের ঘাটতি সব শিশুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তবে এর বিশেষ প্রভাব দেখা যায় শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে। উদ্বেগজনক ব্যাপার হলো, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন সুষম খাদ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে বাস করে, যারা দিনে মাত্র এক বা দুই ধরনের খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। যেসকল শিশুরা নিয়মিত এ পাঁচ ধরনের খাবার খেতে পারে না তাদের শীর্ণকায় হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেশি থাকে।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী সুষম খাদ্য সংকটের শিকার শিশুদের মোট সংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের (৬৫ শতাংশ) বাস যে ২০টি দেশে, বাংলাদেশ তার একটি। এর পরিণাম সারাজীবনের জন্য স্থায়ী হতে পারে। শৈশবে ভালো পুষ্টি থেকে বঞ্চিত শিশুরা সাধারণত স্কুলে কম ভালো করে, কর্মজীবনে কম উপার্জন করে এবং দারিদ্র্য ও বঞ্চনার চক্রে আটকে থাকে।

আরও পড়ুন>> বারবার গর্ভপাত হতে পারে ‘বিপজ্জনক’

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘ভালো পুষ্টি শিশুদের বেঁচে থাকা, বৃদ্ধি ও বিকাশের ভিত্তি। শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়, এ বিষয়ে পরিবারগুলোকে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা; যার আওতায় পুষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিদ্যমান সেবাগুলোকে আরও উন্নত ও সহজলভ্য করা হবে। একই সঙ্গে আরও প্রয়োজন রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা এবং সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ।

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় ও স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোকে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে দৈনন্দিন খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা সম্ভব। তবেই প্রতিটি শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর সূচনা নিশ্চিত করা সম্ভব যাবে।’

ইউনিসেফ শিশুর অপুষ্টি রোধে বাংলাদেশ সরকার, সুশীল সমাজ, দাতা সংস্থা, বেসরকারি খাত ও অন্যান্য অংশীজনকে জরুরিভাবে আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে শিশুর অপুষ্টি প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সেবা প্রদানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো ও আরও উন্নত করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কমিউনিটির স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মীদের সক্ষমতা তৈরিতে বিনিয়োগ করতে বলা হয়েছে।

আপন দেশ/এসএমএ

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়