Apan Desh | আপন দেশ

খলিলের দিল্লি সফর, হাসিনা-জল্পনা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২৩:৫২, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

খলিলের দিল্লি সফর, হাসিনা-জল্পনা

ফাইল ছবি

কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভে (সিএসসি) অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল বুধবার; তবে কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ই দিল্লিতে পৌঁছান। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা তাকে অভ্যর্থনা জানান।

আগামী বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত হবে সিএসসির সপ্তম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলন। আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, সন্ত্রাস দমন, সাইবার হুমকি এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা- এ ধরনের বিষয়ই সাধারণত এ প্ল্যাটফর্মে আলোচ্য হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলির কারণে এবার আলোচনার ফোকাস অন্যদিকে সরে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

বাংলাদেশের একটি বিশেষ আদালত সম্প্রতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি মামলায় রায় ঘোষণা করেছে- যা নিয়ে দেশি–বিদেশি অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত বছর থেকে শেখ হাসিনা পালিয়ে দিল্লিতে অবস্থান করছেন। রায়ের আগেই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছে তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করতে। ভারত এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেয়নি; শুধু জানিয়েছে যে পরিস্থিতি তাদের নজরে রয়েছে।

এ পটভূমিতে খলিলুর রহমানের আগাম দিল্লি যাত্রাকে বিশ্লেষকদের অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। তাদের মতে, দফতর পর্যায়ে কিংবা নীরব কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে শেখ হাসিনার অবস্থান ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতবিনিময় হতে পারে। বিশেষ করে, খলিলুর সফরের সময়সূচির পরিবর্তন এ সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করেছে।

তবে অন্য একাধিক কূটনৈতিক সূত্র বিপরীত মত পোষণ করেছে। তাদের মতে, সিএসসি একটি নিরাপত্তা–কেন্দ্রিক আঞ্চলিক ফোরাম; সুতরাং কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিকে ঘিরে আলোচনার সম্ভাবনা সীমিত। তারা মনে করেন, সফরসূচির আগাম পরিবর্তন লজিস্টিক কিংবা কনক্লেভ–সংক্রান্ত প্রস্তুতির কারণেও হতে পারে।

সরকারিভাবে বাংলাদেশ বা ভারত- কোনো পক্ষই এখনো সম্ভাব্য বৈঠকের আলোচ্যসূচি সম্পর্কে কিছু জানায়নি। এ সফরে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হতে পারে বলে সুচিতে উল্লেখ আছে। ওই বৈঠকের দিকে নজর সবার। সেখান থেকেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের বাক বদল হতে পারে পলাতক শেখ হাসিনা ইস্যূতে। সে কারণে প্রশ্নটি এখনও উন্মুক্তই রয়ে গেছে: দিল্লি সফরে খলিলুর রহমান কি সত্যিই শেখ হাসিনার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলাপ করবেন, নাকি এটি কেবলই কূটনৈতিক জল্পনা?

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়