Apan Desh | আপন দেশ

‘তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মানতেই পারছিলাম না’

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ৪ জুলাই ২০২৫

‘তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদ মানতেই পারছিলাম না’

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

জনপ্রিয় তারকা জুটি তারকা তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ভালোবেসে ২০০৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে তাদের ঘর আলো করে আসে মেয়ে আইরা তাহরীম খান। ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনে হঠাৎ করে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর। ২০১৭ সালের আনুষ্ঠানিকভাবে জনপ্রিয় এ তারকা জুটির বিচ্ছেদ হয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিথিলা ৮ বছর আগের বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন। সেখানে আক্ষেপের সুর শোনা যায় তার কণ্ঠে। মিথিলা জানান, বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে প্রায় দুই বছর আলাদা ছিলাম। এ সময় তাহসানের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়াটা মানতেই পারছিলেন না তিনি।

বিচ্ছেদের ৮ বছর পর ওই পডকাস্ট অনুষ্ঠানে মিথিলা বলেন, তাহসানের সঙ্গে সেপারেশনে থাকার সময় ভেবেছিলেন শেষ পর্যন্ত হয়তো বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়নি।

আরওপড়ুন<<>>বলিউডে অভিষেকের অপেক্ষায় শানায়া

তিনি বলেন, যে কোনো বিচ্ছেদ বা যে কোনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া সহজ না খুবই কঠিন। বন্ধু বা এটা যে কোনো ক্ষেত্রে হতে পারে। আমি ছিলাম তখন অনেক অল্পবয়সী এবং তরুণী মা। আমি যে কোনো একটা ভালো মন্দ বিচার করবো বা কোনো একটা সিদ্ধান্তে আসবো, সেটার শক্তিই আমার ছিল না। কারণ আমার একটা ১ বছরের বাচ্চা। আমার মানসিক অবস্থা ভালো ছিল না, যেখানে আমি কোনো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো নিজের জীবনের।

এ অভিনেত্রী জানান, ২৩ বছর বয়স থেকে আমি আমার জীবনকে একভাবে ভেবে এসেছিলাম। হঠাৎ করে জীবনটা সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমি আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষদের সঙ্গে থেকেছি। একে তো আমার বাচ্চা আছে, তারপর আমি জানলাম সে জায়গাটা আমার ভবিষ্যত না। আমি তখন চাকরি করতাম, কিন্তু আমার একটা গাড়িও ছিল না। আমার তো অভ্যাস ছিল গাড়িতে করে বাইরে যাওয়ার, আমার বাচ্চার অভ্যাস ছিল গাড়িতে চড়ার।

মিথিলা বলেন, মেয়েদের নিজেদের আসলে জায়গা থাকে না। শ্বশুরবাড়ি আবার বাবার বাড়ি, থ্যাঙ্কফুলি এখন আমার নিজের জায়গা আছে। মেয়েদের সবার আগে যেটা দরকার সেটা হলো অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া জীবনের অন্য সব সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হয়।

তিনি ভেবেছিলেন হয়তো শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ হবে না, সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেটা বিচ্ছেদেই গড়ায়। মিথিলা বলেন, এখন হয়তো মেয়েরা অনেক বেশি সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। কারণ এখন মেয়েরা অনেক বেশি অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাচ্ছে। আমাকে ছোটবেলা থেকে মা বলেছে যা-ই করো নিজের পায়ে দাঁড়াবে। ফলে বিয়ের পরেও আমি আমার পড়াশোনা, চাকরি সব চালিয়ে গেছি।

তিনি বলেন, তবে সেসময় আমি অর্থনৈতিকভাবে অতটা স্বাধীন ছিলাম না যে একা একা অতটা ভাবতে পারবো, বাচ্চা মানুষ করতে পারবো। সেটার জন্য সময় লেগেছে। ২০১৫ সালে আমরা সেপারেশনে গেছি। তারপরে আরও দু বছর গেছে। আমি অপেক্ষা করেছি, ভেবেছি যে এটা ঠিক হয়ে যাবে। মানসিকভাবে এটা মেনেই নিতে পারছি না। ২০১৭ সালে এসে সিদ্ধান্ত নিতে পারলাম যে, আমাদের মনে হয় এ সম্পর্কটা  আসলেই কাজ করবে না।

আপন দেশ/এমএইচ
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়