Apan Desh | আপন দেশ

স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ শিক্ষার্থী, বেসরকারিতে শূন্য আসন ৮ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ শিক্ষার্থী, বেসরকারিতে শূন্য আসন ৮ লাখ

সংগৃহীত ছবি

ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে দেশের সরকারি ও মহানগর-জেলা-উপজেলা সদরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৩ লাখ শিক্ষার্থী। তবে বেসরকারি স্কুলগুলোর ১০ লাখের বেশি আসনের বিপরীতে আবেদন কম হওয়ায় খালি রয়ে গেছে প্রায় ৮ লাখ ৪৩ হাজার আসন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় লটারি কার্যক্রম শেষে এ তথ্য জানায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

লটারি শেষে দুপুর পৌনে তিনটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখার উপপরিচালক ইউনুস ফারুকী।

তিনি জানান, এবারের ডিজিটাল লটারিতে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৪৯৯ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে নির্বাচিত হয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জন ও বেসরকারি স্কুলে নির্বাচিত হয়েছেন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন শিক্ষার্থী।

ইউনুস ফারুকী বলেন, এখন দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। লটারির ফল নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ও যেকোনো টেলিটক মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে জানা যাবে।

সরকারি স্কুলে শূন্য আসন ১৪ হাজার

এবার সরকারি ৬৮৯টি স্কুলে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ৭ লাখ ১৯ হাজার ৮৫৮ জন শিক্ষার্থী। লটারিতে নির্বাচিত ১ লাখ ৭ হাজার ৫২১ জনের বাইরে ১৪ হাজার ৭৫টি আসন এখনো ফাঁকা রয়েছে।

বেসরকারি স্কুলে শূন্য আসন ৮ লাখের বেশি

মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরের ৩ হাজার ৩৬০টি বেসরকারি স্কুলে ১০ লাখ ৭২ হাজার ৯১৭টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১৯৬ শিক্ষার্থী। নির্বাচিত হন ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭৮ জন। ফলে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ৮ লাখ ৪৩ হাজার ১৬০টি আসন খালি রয়ে গেছে।

১৭ ডিসেম্বর থেকে ভর্তি শুরু

নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ১৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব জানান, গতবারের মতো এবারও দুটি অপেক্ষমাণ তালিকা থাকবে। ২২ থেকে ২৪ ডিসেম্বর প্রথম ওয়েটিং লিস্ট থেকে ও ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ওয়েটিং লিস্ট থেকে ভর্তি করানো হবে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ভর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও আসেননি শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার। সকালেই সরকারি স্কুলের লটারি প্রক্রিয়া উদ্বোধন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কলেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়া ও উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত সচিব বেগম বদরুন নাহার। পরে বেসরকারি স্কুলের লটারি উদ্বোধন করেন প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান।

টেলিটক ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়ায় সহায়তা দেয়। বিকেল পৌনে তিনটায় টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনুস ফারুকীর হাতে ফলাফল হস্তান্তর করেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাউশির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক বিএম আব্দুল হান্নানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়