ছবি : আপন দেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ইব্রাহিম রনি ও জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদে একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব নির্বাচিত হয়েছেন। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল সেক্রেটারি (এজিএস) পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
অফিসিয়াল ফলাফল অনুযায়ী, ‘ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহিম রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়েছেন, জিএস পদে সাঈদ বিন হাবিব ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করেছেন।
ভিপি ইব্রাহিম রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ সেশনের ইতিহাস বিভাগ শিক্ষার্থী, জিএস সাঈদ বিন হাবিব ২০১৯-২০ সেশনের ইতিহাস বিভাগ শিক্ষার্থী এবং এজিএস আইয়ুবুর রহমাব তৌফিক ২১-২২ সেশনের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন<<>>চাকসু নির্বাচন: বহিরাগত নিয়ে শিবির-ছাত্রদলের অভিযোগ
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। চাকসুর ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়েন ৪৯৩ জন প্রার্থী।
যদিও সারাদিনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, ফলাফল ঘোষণার আগে কয়েক স্থানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বুধবার রাত একটার পর দুই হলের ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মুক্ত হন।
এ ছাড়া রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থকদের সমর্থনে যথাক্রমে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করলেও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































