Apan Desh | আপন দেশ

শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার দাবিতে মানববন্ধন রাবি ইউট্যাবের

রাবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার দাবিতে মানববন্ধন রাবি ইউট্যাবের

ছবি : আপন দেশ

আম্মার এবং তার সহযোগীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এ আম্মার এমন এক বেয়াদব এবং সন্ত্রাসী যে হাতে পিস্তল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে। সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্চিত করেছে, আমরা যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি; তাহলে ভবিষ্যতেও আমাদেরও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। 

পোষ্য কোটা ইস্যু নিয়ে রাবি উপ-উপাচার্য ও শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একথা বলেন ইউট্যাব রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবি হলো চিহ্নিত এ সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদের সনদ বাতিল করতে হবে। এছাড়াও যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী আছে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করতে হবে।

এর আগে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা তিনটার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হলে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা তার গাড়ি আটকে দেন। পরে তিনি হেঁটে তার বাসভবনের দিকে যেতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তার বাসভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে দিলে তিনি জুবেরী ভবনের দিকে যান। তার সঙ্গে প্রক্টর মাহবুবর রহমানও ছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিক থেকে জুবেরী ভবনে উপ-উপাচার্য মাঈন উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। সে সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের কিছু অপ্রিতিকর পরিস্থিতি ঘটে।

আরও পড়ুন<<>>পূজোর পরে রাকসু নির্বাচন চায় ছাত্রদল 

এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপ-উপাচার্যসহ অন্য শিক্ষকদের ‘লাঞ্ছিত’ করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার কর্মবিরতির ডাক দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি আবদুল আলিম।

মানববন্ধনে অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, উপ-উপাচার্য মহোদয়সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দের উপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে, তেমন নিদর্শন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আগে দেখা যায়নি। যারা এ কার্যকলাপে জড়িত, তাদের ছাত্রত্ব অবিলম্বে বাতিল করা হোক এবং তারা প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুক। আমরা প্রশাসনের দ্রুত ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানাই। যদি তা না হয়, আমরা সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নেয়ার দিকে যেতে বাধ্য হবো।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল আলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মকর্তা-শিক্ষকদের উপর সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলাকে আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেখি। এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড কোনো আদর্শবান শিক্ষার্থীর কাজ হয়ে থাকতে পারে না। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা এবং ছাত্রত্ব বাতিলসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আমরা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছিযে, দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।

মানববন্ধনে অধ্যাপক মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়