Apan Desh | আপন দেশ

তৈরি পোশাক শিল্পে সুখবর, খুললো বন্ধ থাকা আট কারখানা

নিজেস্ব প্রতবিদেক

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১১:৫১, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

তৈরি পোশাক শিল্পে সুখবর, খুললো বন্ধ থাকা আট কারখানা

চট্টগ্রাম ইপিজেডে প্যাসিফিক জিনসের একটি কারখানা

প্রায় পাঁচ দশকে নানা সংকটের মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত। অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রফতানির পথে এ শিল্প। এবার এলো আরেকটি সুখবর। দেশের শীর্ষস্থানীয় পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সাতটি কারখানা বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে আবার খুলেছে। 

কারখানায় হামলা ও কর্মপরিবেশ না থাকায়’ গত ১৬ অক্টোবর এসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ পর চট্টগ্রামের  সিইপিজেডে প্যাসিফিক জিনসের এ আট কারখানা পুনরায় সচল হওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন মালিক, শ্রমিক ও পুলিশ।  

এসব কারখানার ৩৫ হাজার শ্রমিকের বেশিরভাগই হাসিমুখে কাজে যোগ দেন। তবে প্রতিদিনের মতো পুরো সিইপিজেড এলাকায় সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন শিল্প পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  

চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সুপার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, প্যাসিফিকের ওই আট কারখানায় ৩৫ হাজার শ্রমিক,. চার হাজারের বেশি স্টাফ, কর্মকর্তা নির্বিঘ্নে কাজ শুরু করেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রুটিনকাজ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।  

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্যাসিফিক জিনস বড় কারখানা হওয়ায় যদি এখানে অস্থিরতা দেখা দেয় তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে। এর সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, শিপমেন্ট, পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তি, কর্মসংস্থানসহ নানা বিষয় জড়িত। আবার ৩৫ হাজার শ্রমিক যদি বেকার হন তারা কোথায় কাজ পাবেন? এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও আশঙ্কা থাকে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কারখানাগুলো যাতে দ্রুত সময়ে খোলার ব্যবস্থা করা হয়। আশাকরি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করবে।  

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে প্যাসিফিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক নোটিশে বলা হয়, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে ১৬ অক্টোবর থেকে কারখানার কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় ২৩ অক্টোবর থেকে কারখানা পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন<<>>ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে র‌্যালি-সেমিনার

নোটিশে আরও বলা হয়, সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিককে নির্ধারিত তারিখ এবং সময়ে নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত থেকে শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে উৎপাদন কার্যক্রম নির্বিঘ্নভাবে পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য আহবান জানানো হচ্ছে।

কারখানাগুলো হলো- প্যাসিফিক জিন্স-১, প্যাসিফিক জিন্স-২, প্যাসিফিক অ্যাটায়ারস, প্যাসিফিক অ্যাক্সেসরিজ, প্যাসিফিক ওয়ার্কওয়্যারস, ইউনিভার্সেল জিন্স, এইচটি ফ্যাশন ও জিন্স ২০০০।

গত ১৪ অক্টোবর থেকে প্যাসিফিক গ্রুপের কয়েকটি ইউনিটের শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেন। পরদিন তারা ইপিজেড এলাকায় বিক্ষোভ করেন। ১৬ অক্টোবর বিক্ষোভ চলাকালে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এ অবস্থায় রাতে গ্রুপের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯’ এর ধারা ১২(১) অনুযায়ী সব ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

প্যাসিফিক গ্রুপ সিইপিজেডের সবচেয়ে বড় রফতানিমুখী পোশাক উৎপাদনকারী শিল্পগোষ্ঠীগুলোর একটি। গ্রুপের আটটি ইউনিটে ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়