Apan Desh | আপন দেশ

রিজার্ভ চুরিতে জড়িত হ্যাকার গ্রুপটি সক্রিয়

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১২:০৫, ১৬ জানুয়ারি ২০২৪

রিজার্ভ চুরিতে জড়িত হ্যাকার গ্রুপটি সক্রিয়

ফাইল ছবি

গত ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চুরি করে উত্তর কোরিয়ার  হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস গ্রুপ’। এই চক্রটি এখনো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সক্রিয় বলছে জাতিসংঘ।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। খবর রয়টার্স।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতারক এবং মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে পাচারের অর্থ এবং অবৈধ আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং নেটওয়ার্কগুলোর মাধ্যমে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। ক্যাসিনো এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিময়ের মাধ্যমগুলো এখন এ চক্রের অপরাধ সংগঠনের মূল স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে ফিলিপাইনের লাইসেন্সকৃত ক্যাসিনো এবং জাঙ্কেট অপারেটরদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যারা ২০১৬ সালে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাইবার আক্রমণ করে চুরি করা প্রায় ৮১ মিলিয়ন ডলার পাচারে সহায়তা করেছিল। এই অর্থ চুরির জন্য লাজারাস গ্রুপকে দায়ী করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য ও অপরাধ কার্যালয় (ইউএনওডিসি) বিশদ বিবরণ না দিয়ে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার লাজারাস গ্রুপসহ হ্যাকাররা মেকং এলাকায় অর্থাৎ থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস এবং কম্বোডিয়ায় এই ধরনের ভাগাভাগির বেশ কয়েকটি নজির দেখা গেছে। ঘটনা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং ব্লকচেইন ডেটা বিশ্লেষণ করে তাদের কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন <> জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ

তবে ইউএনওডিসির প্রতিবেদনের বিষয়ে জেনেভায় জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়া মিশনের এক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘বিষয়টি সম্পর্কে পরিচিত নন’ বলে জানান তিনি। তার দাবি, লাজারাস নিয়ে আগের প্রতিবেদনটি ছিল কল্পনাপ্রসূত ও ভুয়া।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার মুখ্য গোয়েন্দা ব্যুরো লাজারাস হ্যাকার গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের সাইবার অপরাধ এবং র‍্যানসম (হ্যাক করে অর্থ আদায়) আক্রমণের একটি অপারেশনে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের চুরি করা তহবিলগুলো পিয়ংইয়ং এবং এর অস্ত্র কর্মসূচির অর্থায়নের অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মাদক পাচার এবং সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার এবং আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যাংকিং অপারেশনের জন্য জাঙ্কেট সেক্টরগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়