মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ
সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ক্যাপ্টেন মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি নৌ পরিবহন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, আসামি ক্যাপ্টেন মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রাক্তন নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার এবং কন্ট্রোলার অব মেরিটাইম এডুকেশন, বর্তমানে নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (চলতি দায়িত্ব)। তিনি দাখিলকরা সম্পদ বিবরণীতে ২৯ লাখ ৩৩ হাজার ৮২২ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। এছাড়া সরকারি চাকরিতে দায়িত্বশীল পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ১৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭(১) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন<<>> সিটি ব্যাংক এমডি মুজিববাদী মাসরুর আরেফিন এখন ব্যাংকখাতের ভয়
উল্লেখ্য, এ খবর জানার পর থেকেই ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন আহমেদ পলাতক রযেছেন। তার গ্রামের বাড়ী গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তিনি নৌপরিবহন অধিদফতরে জাল কাগজপত্রে চাকনি বাগিয়ে নেন। এরপর সাবেক বিমান মন্ত্রী কর্ণেল (অব) ফারুক খানের তদবীরে চীফ নটিক্যাল পদে পদোন্নতি পায়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিহত করতে তিনি প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
