
মাশরুর রহমান সজিব
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক মাশরুর রহমান সজিবকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আতোয়ার রহমান এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা।
সাজাপ্রাপ্ত সজিব যশোরের পালবাড়ি তেঁতুলতলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে ভুক্তভোগী ছাত্রী যশোর শহরের একটি কলেজে ভর্তি হয়ে পালবাড়ি এলাকায় ফুফুর বাসায় থাকতেন। সেখানে গৃহশিক্ষক হিসেবে পড়াতেন সজিব। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ১৫ জুন বাড়িতে একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সজিব ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
আরওপড়ুন<<>>এনসিপি থেকে ১৫ নেতার পদত্যাগ
পরবর্তীতে সম্পর্কের সুযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভ্রমণে নিয়ে যান এবং গোপনে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে সজীবকে ওই ছাত্রী বিয়ের চাপ দিলে তিনি এড়িয়ে যেতে থাকেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
২০২৪ সালের ৩০ জুলাই সজিবের মাকে বিষয়টি জানালে তিনি জানান, তার ছেলে অন্যত্র বিয়ে করেছেন। এরপর ০৩ আগস্ট থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ না করায় ওই ছাত্রী ১৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেন। তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দেন তৎকালীন বিচারক। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি সজিবকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি মাশরুর রহমান সজিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় সজিব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক আছেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।