
ছবি: আপন দেশ
সাতক্ষীরার তালায় প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে নিজের শরীরে আগুন দেয় এক কলেজছাত্রী। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকায় নেয়ারে পথে মারা যায় সে।
বৃহস্পতিবার (০১ মে) তালা উপজেলার ঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্রীর নাম সানজিদা আক্তার তুলি (১৭)। সে ওই গ্রামের মো. কামরুল সরদারের কন্যা ও তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাড়ির পাশে মসজিদের ইমাম আমিনুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুলিদের বাড়ির সামনের মসজিদে কয়েক মাস আগে আমিনুর রহমান ইমামতি করতেন। ওই যুবকের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চননগর গ্রামে। নিহত তুলি আমিনুলকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর এ ঘটনায় ইমামতি ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক। ঘটনাটি এলাকার অনেকেই জানেন বলে স্থানীয়রা জানান। বৃহস্পতিবার মা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তার বাবা খুলনায় রিক্সা চালাতে গিয়েছিলেন।
আরওপড়ুন<<>>নারীর দিকে তাকানো নিয়ে সংঘর্ষ, ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০
এ সুযোগে তুলি নিজের শরীরে কেরোসিন ছিটিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন সারা শরীরে ধরে গেলে তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে তলির শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে দ্রত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে এদিন বিকেলে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। তবে ওই কলেজ ছাত্রী মৃত্যুর আগে তার হাতে কলম দিয়ে মসজিদের ইমাম আমিনুর রহমানের নাম লিখে গেছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইজাহার আলী বলেন, আমি শুনেছি তাদের বাড়ির পাশের মসজিদের ইমামের কাছে তুলি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলো। এ কারণে ইমাম কাউকে কিছু না জানিয়ে ১৫ দিন আগে পালিয়ে গেছে। এ কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, আমি শুনেছি স্থানীয় মসজিদের ইমামের সঙ্গে তুলির একতরফা প্রেম চলছিল। মেয়েটা ভালোবাসলেও ওই ছেলেটি তাকে ভালোবাসেনি। যার কারণে সে পালিয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো ওই কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে।
এদিকে, বিষয়টি জানার পর পরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল, সার্কেল এসপি হাসানুর রহমান, তালা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ সফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তালা থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পর পরই আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে বলা যাবে আসলে কি কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ইমামকে থানায় আনা হয়েছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।