ফাইল ছবি।
ধেয়ে আসছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘ঈশান’। এটি দেশের উত্তর অঞ্চলের জেলাগুলোতে বেশি প্রভাব ফেলবে। এর প্রভাবে উজানে বৃষ্টির ফলে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অতি বন্যা প্রবণ নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় পাহাড় ধসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) শনিবার (০২ আগস্ট) নিজেদের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানায়। পোস্টে বলা হয়, এটি একটি প্রায় পূর্ণাঙ্গ বৃষ্টিবলয়। এ বৃষ্টিবলয়ে দেশের প্রায় সব এলাকায় যথেষ্ট বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে এবং প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় কম-বেশি বৃষ্টি হতে পারে।
এটি চলতি বছরের ১০ম বৃষ্টিবলয় ও ৬ষ্ঠ মৌসুমী বৃষ্টিবলয়। যা রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ হয়ে দেশে প্রবেশ করবে ও ০৯ আগস্ট রংপুর হয়ে দেশত্যাগ করতে পারে। এ বৃষ্টিবলয় সর্বাধিক সক্রিয় থাকবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে। বেশ সক্রিয় থাকবে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগে। মাঝারি সক্রিয় থাকবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগে।
আরওপড়ুন<<>>বায়ুদূষণের সূচকে ঢাকার উন্নতি
বিডব্লিউওটি জানিয়েছে, বৃষ্টিবলয় সর্বাধিক সক্রিয় থাকবে ০৪ থেকে ০৮ আগস্ট। দেশের ৪০-৬০ ভাগ এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বৃষ্টি হবে। (উত্তরাঞ্চলে বেশি)
এ বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অতি বন্যা প্রবণ নিচু এলাকায় বন্যা হতে পারে। এ বৃষ্টিবলয়ে দেশের ওপর বড় কোনো ঝড়ের আশঙ্কা নেই, তবে দমকা হাওয়া থাকতে পারে বৃষ্টিবাহী এলাকায়। তবে বেশিরভাগ সময় সাগর নিরাপদ থাকতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকাতে পাহাড় ধসের বেশ আশঙ্কা রয়েছে।
‘ঈশান’ চলাকালীন সময়ে দেশের আকাশ অধিকাংশ এলাকায় আংশিক থেকে মূলত মেঘলা থাকতে পারে। অধিক সক্রিয় এলাকায় মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। দেশের আবহাওয়া উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় আরামদায়ক থাকতে পারে। তবে বৃষ্টি বিরতির সময় অল্প কিছুটা ভ্যাপসা গরম পড়তে পারে কিছু কিছু এলাকায়। দক্ষিণাঞ্চলে ভ্যাপসা গরম অনুভূতি থাকতে পারে। এর প্রভাব যেখানে বেশি সক্রিয় থাকবে, সেখানে রোদের উপস্থিতি তেমন পাওয়া যাবে না।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
