
আপন দেশ
দেশজুড়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। মাঝে মাছে বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। এ অবস্থায় চারদিকে হাঁসফাঁস করা গরমে যখন মানুষ একটু স্বস্তির খোঁজে। তখন মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শীতল পাটির কদর বাড়তে শুরু করেছে। তবে সাময়িক এ কদরেও আশার আলো দেখছেন না কারিগররা। জীবিকার তাগিদে অনেকেই শত বছরের পুরোনো এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে নারীদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে রঙ-বেরঙের শীতল পাটি। মুর্তা গাছের বেতি প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় এ পাটি। প্রতিটি পাটির দাম এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা। তবে উৎপাদন ব্যয় ও বাজার প্রতিযোগিতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় শীতল পার্টির কারিগররা।
শীতল পার্টির এক কারিগর বলেন, প্রতি পিস পাটির দাম ৫০০-৬০০ টাকা বলে। কিন্তু আমাদের খরচ পড়ে ৯০০-৯৫০ টাকা। এমন হলে মরন ছাড়া উপায় থাকে না। আরেক কারিগর বলেন, আগে এ পেশায় শতাধিক পরিবার থাকলেও বর্তমানে পাটি বানানোর সঙ্গে জড়িত ২০টি পরিবারও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আরওপড়ুন<<>>কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ
সাম্প্রতিক তীব্র গরমে হঠঅৎ করে বেড়েছে শীতল পাটির চাহিদা। এতে কারিগরদের ব্যস্ততা কিছুটা বাড়লেও তা সাময়িক বলেই মনে করছেন পাটিশিল্প সংশ্লিষ্টরা। প্লাস্টিক ও আধুনিক মাদুরের বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
শিল্পটির পুনরুত্থানে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) পক্ষ থেকেও মিলেছে আশ্বাস।
মুন্সিগঞ্জ বিসিক কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা উন্নত প্রশিক্ষণ, প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ এবং বাজারজাতকরণের জন্য মেলায় বিনামূল্যে স্টলের ব্যবস্থা করতে পারি।
মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।