Apan Desh | আপন দেশ

কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৮ মে ২০২৫

কালীগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ

ছবি: আপন দেশ

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিভাবে এ ফলের চাষ করে অনেকেই ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে বিশাল ড্রাগন ফল বাগান। এখানে মাল্টা, লেবু, পেপে,পেয়ারা ও কমলাসহ সাইট্রাস জাতীয় বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা রয়েছে।

উপজেলায় যৌথভাবে পরিচালিত ফারর্মাস এগ্রো বাংলা লি.। সরেজমিনে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেয়ারটেকার মো. আশরাফুল আলম বলেন, অন্যান্য কৃষি কাজে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু ড্রাগন চাষে সার ও কীটনাশকের খুব দরকার হয় না।

তিনি আরও বলেন, চারা লাগানোর ১৮ মাস পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। চৈত্র মাসে গাছে ফুল আসে, বৈশাখ মাস থেকে ফল ধরা শুরু হয়।

আরওপড়ুন<<>>হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশে নৌ-যোগাযোগ বন্ধ

উপজেলার নাগরি ইউনিয়নের সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম ড্রাগন ফল বাগানের সত্ত্বাধিকারী মো. শওকত আলী ভেনু এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রায় একশত শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত পদ্ধতিতে আধুনিক প্রযুক্তিতে বাগান তৈরি ও পরিচর্যার কাজ করা হয়। বর্তমানে বাগানে প্রায় চার হাজারের বেশি ড্রাগনের চারা রয়েছে। এ বছর গাছে ভালো ফুল ধরেছে। প্রত্যাশানুযায়ী ফলন হলে বেকার যুবকদের প্রেরণা যোগাবে।

ড্রাগন বিদেশী ফল হলেও এটি আমাদের দেশে একটি সম্ভাবনাময় ফল। বর্তমানে বাংলাদেশে বানিজ্যিকভাবে এ ফলের চাষ হচ্ছে। এটি মূলত পাকা ফল এবং সরবত হিসেবে খাওয়া হয়। অত্যন্ত আকর্ষণীয় রঙের কারণে এর সরবত জনপ্রিয়। ফল থেকে জ্যাম, জেলি, জুস, আইসক্রীম, ক্যান্ডি তৈরি করা হয়। ড্রাগন ফল গাড় গোলাপী, হলুদ, সাদা রঙের ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। জৈব উপাদান সমৃদ্ধ দো-আশ মাটি ও পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পড়ে এমন উন্মুক্ত স্থানে ড্রাগন ফল ভালো হয়। সাধারণ মার্চ-এপ্রিল মাসে মাসে ড্রাসনের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। ড্রাগন চাষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- জমিতে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম খান জানান, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। গাজীপুরে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের আবাদ হয়েছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে অধিদফতরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করে জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করার জন্য কৃষকদের  পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডিসহ নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়