Apan Desh | আপন দেশ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১২:০৪, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হার বাংলাদেশের

বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান দলের খেলোয়াড়রা

প্রথম ওয়ানডে হারায় সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না টাইগারদের সামনে। সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে বোলারদের দারুণ সাফল্য আফগানিস্তানকে ১৯১ রানে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে ম্যাচের সঙ্গে সিরিজও হারল মেহেদী হাসান মিরাজের দল।

এ হারে বাংলাদেশের জন্য আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার পথ অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল। ২০২৪ সালের মার্চে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি। দেশে আফগানিস্তানের বিপক্ষে, বিদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং সবশেষ আফগানিস্তানের হোম সিরিজে আবুধাবিতে টানা দুই ওয়ানডে হেরে বাংলাদেশ এখন সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলতে না পারার ঝুঁকিতে। 

শনিবার (১১ অক্টোবর) আবুধাবীর শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে আফগানিস্তান ৪৪.৫ ওভারে অলআউট হয় ১৯০ রানে। একপ্রান্তে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইব্রাহিম জাদরান করেন ১৪০ বলে ৯৫ রান, তবে অন্যপ্রান্তে চলে আসা যাওয়ার খেলা। মিডল অর্ডারে টানা চার ব্যাটসম্যান এক অঙ্কের রানে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। শেষ দিকে মোহাম্মদ নবীর ২২ ও আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের ২২ রানে কিছুটা সম্মানজনক সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে আফগানরা, অবশ্য দিন শেষে এ সংগ্রহটাই ছিল যথেষ্ট। মিরাজ তিনটি, তানজিম সাকিব ও রিশাদ হোসেন নেন দুটি করে উইকেট।

১৯১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম আউট হয়ে যান শূন্য রানে। পঞ্চম ওভারে নাজমুল হোসেন শান্ত হয়ে যান রানআউট। এক ওভার পর ছক্কা মারার পরের বলেই সাইফ হাসানও ক্যাচ দেন ২২ রান করে। বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের ব্যাটিং এ সময়ের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যাটিংয়ের অনন্য উদাহরণ। স্পিন খেলতে না পারার অক্ষমতা, অহেতুক সুইপ খেলার প্রবণতা দুটোই স্পষ্ট। 

আরও পড়ুন<<>>আজ বাংলাদেশের বাঁচা মরার লড়াই

মিডল অর্ডারে সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর মতো ভরসা করার ব্যাটসম্যান নেই বরং কথিত ফিনিশারের ছড়াছড়ি। জাকের আলি অনিক, নুরুল হাসান সোহানদের সামর্থ্য নেই ইনিংস বড় করার। খানিকটা এলোপাতাড়ি ব্যাট চালিয়ে কিছু রান করে বিদায় নেয়াটাই তাদের বৈশিষ্ট্য। হয়েছেও তাই। রশিদ খানের ঘূর্ণির সামনে খাবি খেয়েছেন সবাই। ৮.৩ ওভারে ২ মেডেনসহ ১৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। দুজন বোল্ড, দুজন লেগ বিফোর উইকেট আর একজন স্টাম্পড। 

রশিদের বলে কোনো ব্যাটসম্যান মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন, এ দাবি করতেই পারেন না। অবশ্য ৩০০ বলে ১৯১ রান করতে খুব বেশি চার ছয় পারার প্রয়োজনও হয় না। স্ট্রাইক রোটেট করে এক-দুই করে নিয়েও এ ম্যাচটা জেতা সম্ভব, তবে সেসব করতে বয়েই গেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কিছু বেশি সময়, অর্থাৎ ২৮ ওভার ৩ বলে ১০৯ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। অথচতখনো ১২৯টি বৈধ ডেলিভারি বাকি।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, আজ খুব খারাপ ব্যাটিং করেছি। আমি ছেলেদের বলেছিলাম, ওপরের দিকে পার্টনারশিপ গড়া দরকার, কিন্তু আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা পার্টনারশিপ শুরু করি, কিন্তু দায়িত্ব নিতে পারি না এখানেই সমস্যা। আমাদের ব্যাটাররা যথেষ্ট দায়িত্ব নিচ্ছে না। এ মুহূর্তে আমরা খুব হতাশ, তবে এখনো একটি ম্যাচ বাকি আছে। এরপর আরেকটি সিরিজ আছে, আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে আরও শক্তভাবে ফিরে আসা যায়। আমাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি আনতে হবে; যদি ওয়ানডেতে রান না করি, তাহলে টিকে থাকা কঠিন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়