
তামিম ইকবাল
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। বোর্ড পরিচালক হয়ে দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছে ছিল জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়কের। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে নানা আলোচনা সমালোচনা, সমঝোতার চেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ব্যাটার।
বুধবার (০১ অক্টোবর) দুপুর বারোটা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। তার আগেই নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তামিম ইকবাল। এদিন সকাল দশটা নাগাদ মিরপুরে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই জোর গুঞ্জন ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতেই মিরপুরে হাজির হয়েছেন তামিম। শেষমেশ গুঞ্জনই সত্যি হলো।
তামিমের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনে আরও কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, ইসরাফিল খসরু, সৈয়দ বোরহানুল ইসলাম এবং রফিকুল ইসলাম বাবুর মতো পরিচালক পদপ্রার্থীরা। এ প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোয় নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক আরও বেড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ১৫ ক্লাবের প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। একই দিন বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তৃতীয় বিভাগ বাছাই থেকে উঠে আসা ১৫টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। আপিল করে রায় বদলাতে না পারলে ক্লাবগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
আরও পড়ুন<<>>বিসিবি নির্বাচন বয়কটের পথে ১৫ ক্লাব
মূলত কয়েকটি ক্লাবকে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ না দেয়ার কারণে অসন্তোষ ছিল তামিম ইকবালের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর তামিম দেশের ক্রিকেটে অবদান রাখতে চেয়েছিলেন বোর্ডে এসে। বিশেষ করে ক্রিকেট অপারেশনে সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। গড়তে চেয়েছিলেন এক্সিলেন্স সেন্টারও, যার পরিকল্পনাও তার করা আছে বলে জানিয়েছেন নানা গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে। যেরকম এক্সিলেন্স সেন্টার আছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। এছাড়া দেশের স্কুল ক্রিকেটকে আবারও জাগিয়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন তামিম। বোর্ডের টাকা ব্যাংকে ফেলে না রেখে টাকা বিনিয়োগের দিকে নজর দেয়ার প্রতিও ইচ্ছা ছিল তামিমের। তবে সেটা এবার আর হচ্ছে না।
এদিকে তামিম না থাকায় নির্বাচনে পরিচালক পদ নিয়ে লড়াইয়ের চিত্র অনেকটাই বদলে যাবে। অন্য প্রার্থীদের জন্য সুযোগ বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। বিসিবির ২৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে।
বিসিবির গঠনতন্ত্রে ১৭১ জন কাউন্সিলরের ৭৬ জনই ঢাকার ক্লাব থেকে আসেন। আবার বোর্ডের ২৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জন আসেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে। বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে আসেন ১০ জন। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ক্যাটাগরিতে আসেন একজন এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটায় ২ জন আসেন। এরপর নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে বিসিবির সভাপতি বেছে নেয়া হবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।