
ছবি : আপন দেশ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন আগামী ৬ অক্টোবর। এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে এ নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা নাটকীয়তা। আর সে পরিস্থিতি প্রতিদিনই বদলাচ্ছে। একটা সময় সরকার পক্ষের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল বিএনপি পন্থী প্রার্থীদের। সে সমঝোতা ভেস্তে গেছে গত রাতে। তখন থেকেই গুঞ্জন ছড়ায় দুদকের জালে থাকা সে ১৫ ক্লাবের বিপক্ষে রিট হতে পারে আদালতে। সেটাই হল শেষ পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের করা এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তৃতীয় বিভাগ বাছাই থেকে উঠে আসা ১৫টি ক্লাবের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আপিল করে রায় বদলাতে না পারলে ক্লাবগুলো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
আদালতের নির্দেশে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এক্সিউম ক্রিকেটার্স, ঢাকা ক্রিকেট একাডেমি, মোহাম্মদ ক্রিকেট ক্লাব, নবাবগঞ্জ ক্রিকেট কোচিং একাডেমি, পূর্বাচল স্পোর্টিং ক্লাব, গুলশান ক্রিকেট ক্লাব, ওল্ড ঢাকা ক্রিকেটার্স, ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি, বনানী ক্রিকেট ক্লাব, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স, মহাখালী ক্রিকেট একাডেমি, ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব, প্যাসিফিক ক্রিকেট ক্লাব, স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাব ও আলফা স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলররা।
ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমির কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর। আদালতে আপিল করে রায় পক্ষে আনতে না পারলে নির্বাচন করা হবে না তার। পাশাপাশি বিএনপিপন্থী প্যানেলের আরও তিনজন মঞ্জুরুল আলম, বোরহান হোসেন পাপ্পু ও ইসরাফিল খসরুর নির্বাচন করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায় এই রিটের কারণে।
আরও পড়ুন<<>>এবার ক্রিকেটে নজর সৌদি আরবের
এই রিটের কারণে নির্বাচনে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে বলে মনে করে একটা পক্ষ। এজন্য অন্তত ১৫টি ক্লাব সরে যেতে পারে নির্বাচন থেকে। আজ নিজেদের মধ্যে বৈঠক শেষে মনোনয়ন প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে তারা। তফসিল অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন। এদিনই প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
এদিকে যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ৩টি মনোনয়ন অবৈধ বলে জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বাতিল হওয়া তিনটি মনোনয়নের মধ্যে একটি ঢাকা বিভাগের আব্দুল্লাহ ফুয়াদ রেদোয়ানের। মঙ্গলবার আপিল শুনানি শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফুয়াদের আপিল মঞ্জুর বলে জানিয়েছেন। তাই নির্বাচন করতে হচ্ছে আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।
রাজশাহী বিভাগ থেকে হাসিবুল আলমের প্রার্থীতাও বৈধতা পেয়েছে। বাকি একটি অবৈধই থেকে গেছে। সবমিলিয়ে আপিলের আবেদন থেকে মঞ্জুর হয়নি তিনটি। তারা হচ্ছেন– রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার মেহেদী হাসান পুলক, রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মো. হাসানুজ্জামান ও চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার শওকত হোসেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।