
বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের লোগো
কাউকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আবার যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই রেফারিদের বহিষ্কার করছেন। নির্বাচন না দিয়ে নিজেই করছেন রেফারিজ কমিটি। কথা না শুনলে ভয়-ভীতিও দেখাচ্ছেন। কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে সরব রেফারিরা। তাই সাবেক কর্মকর্তারা বলছেন, কাবাডিতে এখন চলছে ‘ওয়ানম্যান শো’।
ঈদুল আযহর পর রাজশাহীতে কাবাডি উৎসবের আয়োজন করে উত্তরবঙ্গ কাবাডি ক্লাব। সেখানে খেলা পরিচালনার জন্য আমন্ত্রণ পান দেশের অন্যতম সেরা দুই রেফারি আবু আউয়াল সিদ্দিকী ও যোবায়ের হোসেন। কিন্তু সেই উৎসবে যোগ দিয়ে এখন নিষিদ্ধ তারা।
আবু আউয়াল সিদ্দিকীর কথা, দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় এ খেলাটির আয়োজন হয়। ঈদের পর তাদের সে উৎসবে আমাদের ডেকেছিল খেলা পরিচালনার জন্য। এরপর কাবাডি ফেডারেশন থেকে সাধারণ সম্পাদক আমাদেরকে মৌখিকভাবে নিষিদ্ধ করেন। আমরা নিষিদ্ধের চিঠি চাইলেও দেয়নি।
এ বিষয়ে রেফারিজ কমিটির সাবেক সদস্য সচিব এসএমএ মান্নানের কথা, এটা নৈতিকতা বিবর্জিত। এমন কোনো নিয়ম নেই কাবাডিতে। গায়ের জোরেই সব করছেন সোহাগ। এমনকি নির্বাচন না দিয়ে নিজের ক্ষমতাবলে রেফারিজ কমিটি গঠন করেছেন তিনি। আসলে কাবাডিতে এখন ‘ওয়ানম্যান শো’ চলছে। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলছে দেশের কাবাডি।
মেয়েদের লিগে খেলা উত্তরবঙ্গ কাবাডি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমাকে কাবাডি ফেডারেশনে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছে সোহাগ। অন্যথায় সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেবে এবং মামলা করবে।
অন্যদিকে সাউথ বাংলা কাবাডি ক্লাবের কর্ণধার ফরিদ আহমেদ বলেন, গত ২০২১ সালের নির্বাচনে ক্লাবকে নানা সুবিধা দেয়ার কথা বলে আমার সাউথ বাংলা ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে অন্যজনের কাছে অধিক মূল্যে বিক্রি করেছেন সোহাগ। ফলে আমি ওই নির্বাচনে অংশ নিতে পারিনি। অথচ আমার ক্লাবই ক্ষতির শিকার হয়েছে বেশি।
এ বিষয়েক অভিযুক্ত এসএম নেওয়াজ সোহাগের কথা, এগুলো ভুল কথা। ভিত্তিহীন। আতিক প্রথম থেকেই আমার সঙ্গে ছিল। এখন কি হলো জানি না। আর কাউন্সিলরশিপ ফরিদ ভাই কোথায় কত টাকায় বিক্রি করেছে তিনিই জানেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।