পিএসজির শিরোপা উৎসবে সহিংসতা, নিহত ২

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি) ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে। শনিবার (৩১ মে) রাতে মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনালে ৫-০ গোলে ইন্টার মিলানকে উড়িয়ে শিরোপা জয়লাভ করে তারা।

এ জয় কেবল পিএসজির জন্য ইতিহাসগড়া ম্যাচই নয়, চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসেও সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। স্মরণীয় এ জয়ের পর ফ্রান্সজুড়েই আনন্দে মেতে ওঠেন পিএসজি সমর্থকরা। এমন আনন্দঘন মুহূর্তে আইফেল টাওয়ারও আলোকিত হয় পিএসজির নীল-লাল রঙে। তবে রাত যত বাড়তে থাকে, ততই উচ্ছ্বাসের রূপ বদলাতে শুরু করে।

দাঙ্গাকারীরা শঁজেলিজেতে আতশবাজি ও ফ্লেয়ার ছুঁড়ে, বাসস্টপ আর দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এমনকি কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ হাজারের অধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। তারা জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করে। এ সহিংসতায় দুইজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত অন্তত ১৯২ জন। গ্রেফতার করা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাধিক ব্যক্তিকে।

আরওপড়ুন<<>>লিটনরা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে?

রোববার (০১ জুন) ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার রাতের ওই উদযাপনে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানী প্যারিসের চ্যাম্পস এলিসিস এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে উত্তেজিত জনতা সংঘর্ষে জড়ায়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শুধু প্যারিসেই আটক করা হয় প্রায় ৫শ জনতাকে। এর মধ্যে ৩২০ জনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। দাঙ্গাবাজরা যাত্রীছাউনি ও যানবাহনে আগুন লাগিয়ে দেয়। দেশজুড়ে দুই শতাধিক গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় পুলিশের অন্তত ২২ সদস্য ও দমকল বাহিনীর ৭ সদস্য আহত হন। নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনও বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

পিএসজির এ জয়ের আনন্দে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, স্বয়ং প্রেসিডেন্ট খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাবেন। সব মিলিয়ে, পিএসজির জন্য এটা এক ঐতিহাসিক রাত। যা প্যারিস শহরকে একসঙ্গে উল্লাস, উত্তেজনা আর কিছুটা বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটির প্রশাসন। সহিংসতায় জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।

আপন দেশ/এমএইচ