
লাহরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির একটি দৃশ্য
বড্ড দুঃসময় পার করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। টানা হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে লাল সবুজ দল। তাতে দিন দিন জনপ্রিয়তা কমছে খেলাটির। যেটি সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন। দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা এ ব্যাটার বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ক্রিকেট বাদে সবকিছু হচ্ছে! খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও যেন ভাটা পড়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দলের কাছে সিরিজ হেরেছে। এবার পাকিস্তানের হাতে সিরিজ তুলে দিয়েছেন লিটন দাসরা।
লাহোরে পাকিস্তানের কাছে ৫৭ রানে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারের পর হতাশ টাইগাররা। এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হেরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক বললেন, বাংলাদেশ তাদের বেসিক কাজগুলো ঠিকভাবে করছে না।
শুক্রবার (৩০ মে) সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২০২ রানের টার্গেট দিয়েছিল পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল সফরকারিরা। দলীয় ৪৪ রানে বাংলাদেশ যখন প্রথম উইকেট হারায়, তখন ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বল। সে থেকে শুরু। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৭৭ রান। তবে তানজিম সাকিবের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৪৪ রান তোলে।
পাকিস্তান ম্যাচটি জেতে ৫৭ রানে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি স্বাগিতকরা জিতেছিল ৩৭ রানে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর প্রথম ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল পাকিস্তান।
গত সপ্তাহে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারে বাংলাদেশ। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ হারলেন লিটনরা।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে ব্যক্তিগত ৮ রান করে ফিরে যান পারভেজ ইমন। তিনি ফেরার চার বলের মধ্যে আউট হন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসানও। ফাহিম আশরাফের বলে শর্ট লেগে আবরার আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন এ বাঁহাতি। তানজিদ ৫ চার, ১ ছক্কায় ১৯ বলে করেন ৩৩ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে হাসান আলির স্লোয়ারে মিড অনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লিটন করেন ৯ বলে ৬ রান।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে আবরার আহমেদ পর পর দুই বলে আউট করেন তাওহীদ হৃদয় (৫) ও জাকের আলী অনিককে (০)। হাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটি করতে পারেননি আবরার। ১৮ বলের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর আবরার ফেরন শামীম পাটোয়ারীকেও (৭)। আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন রিশাদ হোসেন (১)। তাতে ৪৪/০ থেকে ৭৭/৭ এ পরিণত হয় বাংলাদেশের স্কোর। ৩৩ বলের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিব এর ৩৩ রানের জুটিতে একশো পেরোয় বাংলাদেশ। মিরাজ ১৭ বলে ২৩ রান করে খুশদিলের বলে হারিস রউফের হাতে ধরা পড়লে জুটি ভাঙে।
এরপর পর বাংলাদেশের হারটা ছিল সময়ের ব্যাপার। কারণ শরিফুল ইসলাম আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের দ্বিতীয় ওভরেই। তবে তানজিম সাকিবের ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংসে হারের ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ। তানজিম সাকিবের ইনিংসে ছিল ৫ ছক্কা ও ১ চার।
পাকিস্তানের আবরার আহমেদ ১৯ রানে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন।
রোববার (০১ জুন) হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নামবে বাংলাদেশ। অধিনায়ক লিটন দাস বললেন, আমাদের আরেকটি সুযোগ আছে। এখন আমাদের বসে কথা বলতে হবে। কীভাবে আমরা শক্তিশালী হয়ে ফিরতে পারি সেটা ভাবতে হবে। এটা মানসিকতার ব্যাপার।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।