ছবি : আপন দেশ
দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। সেটি এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৫ অক্টোবর) শিল্পকলা একাডেমীতে দৈনিক নয়া দিগন্তের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নয়া দিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এ পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তারা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে এ পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর ছিল দমন-পীড়নের ভয়াবহ ছায়া। তবুও তারা গণমানুষের চেতনা ও সত্যের সংবাদ প্রচারে অটল ছিলেন। এমন সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকামী শক্তিগুলোর ওপর ফ্যাসিবাদী সরকারের দমন-পীড়নের কথা জাতি ভুলে যায়নি। ষাট লাখ কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা, বিশ হাজারের বেশি নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ড ও গুমের শিকার হয়েছেন। জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নয়া দিগন্তের মালিক মীর কাসেম আলী, সালাউদ্দিন কাদেরসহ অনেকে আলেম ওলামাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে মিথ্যা মামলায়। এসব এ জাতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়।
আরও পড়ুন<<>>ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
তিনি আরও বলেন, এ দেশবাসী একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। এমন বাংলাদেশ, যা কোনো বিদেশি শক্তির নিয়ন্ত্রণে নয়, জনগণের ইচ্ছায় পরিচালিত। নয়া দিগন্ত সে লক্ষ্যে গণমানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা রেখে চলেছে।
বিএনপি মহাসচিব স্মরণ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের বাকশাল শাসনের সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের দুঃসময়কে। তিনি বলেন, তখন সাংবাদিকরা বেকার হয়েছিলেন, অনেকে রাস্তায় হকারি করেছেন। পরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষরিত দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানের শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, নয়া দিগন্ত সবসময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। দলের পক্ষ থেকে সম্পাদক, প্রকাশক, রিপোর্টার ও সকল কর্মীবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
বক্তব্যের শেষে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্ত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































