
ছবি: আপন দেশ
প্রচলিত স্লোগাননির্ভর রাজনীতির যুগ শেষ। জনগণ এখন বাস্তবায়নযোগ্য পরিকল্পনা ও পরিবর্তনের রাজনীতি চায়। এ জন্য বিএনপি দেশের প্রতিটি খাতে সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। ক্ষমতায় গেলে তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছে। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনরায় পেলে বিএনপি মিলে-মিশে দেশ পরিচালনা করবে। দেশের সকল নারী-পুরুষ-ছাত্র-তরুণ-যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের কাছে আমার আহবান… আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিন, দেশ গড়ার সুযোগ দিন।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত যুব সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ যুব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন>>>সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৯৮
তারেক রহমান বলেন, আজ এখানে যারা বক্তব্য রেখেছেন, আমি তাদের সকলের সহযোগিতা কামনা করছি, যারা আমার নেতাকর্মীরা আছেন, যারা সংবাদকর্মী আছেন তাদের মাধ্যমে আমি দেশের সকল মানুষের কাছে এতটুকু বলতে চাই.. ভোট দিলে ধানের শীষে দেশ গড়বো মিলে-মিশে।
প্রযুক্তি নির্ভর যুব সমাজ গড়ে তুলতে দলের কর্ম পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে আগামী দিনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। বেকারদের কর্মের ব্যবস্থা করা, এটাই আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য।
জনগণ প্রচলিত রাজনীতির একটা পরিবর্তন চাইছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে আর প্রতিশ্রুতি নয়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এ কারণে প্রতিটি সেক্টরের পরিকল্পনা কিভাবে বাস্তায়ন করা যায়, সেটাই আমরা পরিকল্পনার কাজ করছি। আজকের এ যুব সমাজের মাধ্যমে দেশের তরুণ যুবশক্তির কাছে আমার আবেদন— আপনারা বিএনপির জনমুখী গণমুখী কর্ম পরিকল্পনাগুলো দেশের সকলের সামনে তুলে ধরুন। জনগণের রায় বিএনপি রাষ্ট্রীয় পরিচালনার সুযোগ পেলে সামনের দিনে আমরা এ পরিকল্পনাগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব।
তারেক রহমান বলেন, সাধারণভাবে একটা দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন কর্মক্ষম শ্রমশক্তি থাকে সেটি হল কিন্তু ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড… এ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বিবেচনা দেশের বর্তমান জনসংখ্যা দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে। কারণ বয়সের হিসাবে আমাদের জনসংখ্যা অধিকাংশই কিন্তু কর্মক্ষম। এখন শুধু এ জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে আমাদের রূপান্তর করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, এ কারণেই বিএনপি মনে করে যে, দেশের জনসংখ্যাকে বিশেষ করে তরুণ ও যুবশক্তিকে যদি কারিগরি নির্ভর শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা যায়, তাহলে বর্তমান জনসংখ্যা দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএস জিলানী। যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ও ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন, সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ রুমি ও শরীফুল ইসলাম খান, নাট্য নির্মাতা মাসরুর রশীদ বান্নাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাফসীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বক্তব্য রাখেন।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।