ছবি: আপন দেশ
শহীদ শরিফ ওসমান হাদীর খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা দুইটার পর থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে করে ওই এলাকা দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর ২টা থেকে অবরোধ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ১১টা থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে তারা সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস', 'আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম', 'যেই হাদী জনতার, সে হাদী মরে না' স্লোগানে পুরো এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে।

ওসমান হাদীর খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে গত শুক্রবার দুপুর থেকে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয়ার পর তারা এলাকা ছাড়েন।
সর্বাত্মক অবরোধ ঘোষণার আগে গতকাল রাত ১১টার দিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী শাহবাগে আসেন। সেখানে আন্দোলনরত জনতার উদ্দেশে হাদী হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি তুলে ধরেন। ৭ জানুয়ারির মধ্যে হাদী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্র দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করার কথাও অঙ্গীকার করেন তারা। তবে এ প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম জানান, শরিফ ওসমান হাদী হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর সহযোগী আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়েছেন। তাদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন ভারতের দুই নাগরিক। মেঘালয় পুলিশ ওই দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এ মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে বলে ডিএমপি জানায়।

ওসমান হাদী গত বছরের আগস্টে ইনকিলাব মঞ্চ গঠন করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সারা দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হতে প্রচারও চালাচ্ছিলেন তিনি। ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদীকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































