Apan Desh | আপন দেশ

দ্রুত সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে জনগণ: ভূমি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ১০ নভেম্বর ২০২৫

দ্রুত সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে জনগণ: ভূমি উপদেষ্টা

ছবি: আপন দেশ

ভূমি প্রশাসন বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। কীভাবে কাজ করলে জনগণের কল্যাণ হবে-তা নিজস্ব বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানবিকতা দ্বারা নিরূপণ করে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। কেউ যদি সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দ্রুত সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে জনগণ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অডিটরিয়ামে উপজেলা ভূমি অফিসের সেবা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক কর্মশালায় ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন<<>>‘বন্যেরা বনে সুন্দর’, আসিফ সুন্দর গানে

ভূমি প্রশাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এর কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে মূলত উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সাধারণ মানুষের ভূমি-সংক্রান্ত প্রায় সব সেবা এ অফিসের মাধ্যমেই দেয়া হয়। তাই উপজেলা ভূমি অফিস হলো নাগরিক সেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু এ সেবার মান ও সুশাসন নিশ্চিত করতে এখনও নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, সুশাসন একটি রাষ্ট্রের অগ্রগতির পূর্বশর্ত। এটি এমন একটি কাঠামো, যেখানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, ন্যায়বিচার ও নাগরিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়-ভূমি সেবার ক্ষেত্রেও তাই। ভূমি মানুষের জীবন-জীবিকার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। ভূমি খাদ্য, শিল্প ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সম্পদের মূল উৎস এবং দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ভূমি সেবার মানোন্নয়ন কেবল প্রযুক্তিনির্ভর নয়; এটি মানবিকতা, সততা ও দায়িত্ববোধের সমন্বয়। ডিজিটাল ভূমি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য প্রযুক্তির পাশাপাশি সেবাদাতার মানসিকতা ও দক্ষতার উন্নয়ন অপরিহার্য। নাগরিক ও প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায়ই সম্ভব হবে একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও আধুনিক ভূমি সেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নির্বাচন পরিচালনায়ও বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তারা কেবল ভূমি প্রশাসনের দায়িত্বে নিয়োজিত নন বরং নির্বাচনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ৫ আগস্টের পর নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে পুরোনো সব জীর্ণতা ভুলে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সামনে নির্বাচন—নতুন আশা, নতুন প্রত্যয়। তাই এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে হবে, যেখানে আপামর জনগণ নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন টিআইবির পরিচালক (সিভিক এনগেজমেন্ট) ফারহানা ফেরদৌস, প্রফেসর ড. সুরাইয়া খায়ের (উপদেষ্টা, নির্বাহী ব্যবস্থাপনা, টিআইবি) এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।

আপন দেশ/এসআর

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়