Apan Desh | আপন দেশ

গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ২৮ আগস্ট ২০২৫

গুমের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন

ছবি: আপন দেশ

অন্তর্বর্তী সরকার গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারে নতুন অধ্যাদেশ, ২০২৫’–এর খসড়া অনুমোদন করেছে। এ অধ্যাদেশে গুম করার অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এটি এখনও খসড়া পর্যায়ে আছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আরও আলোচনা হবে।

এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা ও একটি স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম বৈঠকে। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আরও পড়ুন>>>ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

শফিকুল আলম বলেন, গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় গুমকে সংজ্ঞাসহ চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুমসংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।

গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষাসংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা, ভুক্তভোগী, তথ্য প্রদানকারী ও সাক্ষীর অধিকার সুরক্ষা, ভুক্তভোগীর ক্ষতিপূরণ ও আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তার বিধানও রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে।

শফিকুল আলম বলেন, আজকে কেবল নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি নিয়ে সামনে আরও আলোচনা হবে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নিয়ে আসা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বন্ধ ঘোষণার সিদ্ধান্ত হওয়া তিনটি স্থলবন্দর হচ্ছে, নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর ও রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। এ ছাড়া হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৭ অক্টোবর লালন সাঁইয়ের ‘তিরোধান দিবস’কে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ–প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়