Apan Desh | আপন দেশ

‘শুল্ক চুক্তি সন্তোষজনক, তবে দেশটিকে দেয়া সুবিধার বিষয়েও জানতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৮:১৭, ১ আগস্ট ২০২৫

‘শুল্ক চুক্তি সন্তোষজনক, তবে দেশটিকে দেয়া সুবিধার বিষয়েও জানতে হবে’

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ফাইল ছবি

মার্কিন শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা সন্তোষজনক। তবে এর বিপরীতে দেশটিকে কী কী সুযোগ-সুবিধা দিতে হয়েছে তা না জানা পর্যন্ত এর প্রভাব সম্পর্কে বলা যাবে না। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, প্রতিযোগী দেশের তুলনায় আমাদের ট্যারিফ সন্তোষজনক। তবে সেখানে শুধু শুল্ক কমানো নিয়েই আলোচনা হয়নি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশটির দাবি-দাওয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশটিকে কী দিতে হয়েছে তা জানার পর মন্তব্য করা যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের নতুন এ হারের পেছনে কী আছে সে প্রসঙ্গ টেনে সাবেক এ বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পুরো নেগোসিয়েশনের সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। আমরা শুধু ট্যারিফের বিষয়টা জানি। সার্বিক বিষয় জানার পরে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। এর (শুল্কের) বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে সেটা না জানা পর্যন্ত তো এর প্রভাব কী হবে সেটা আমরা বলতে পারছি না,যোগ করেন তিনি।

আরওপড়ুন<<>>পোশাক খাত রক্ষাই ছিল আমাদের অগ্রাধিকার: ড. খলিলুর

আমীর খসরু বলেন, নেগোসিয়েশনের পেছনের যে বিষয়গুলো তো একটা প্যাকেজ। এখানে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধু ট্যারিফের কত পারসেন্ট কমানো হলো, সেটা সিদ্ধান্ত হয়নি। এ সিদ্ধান্তের পেছনে অনেক আলাপ-আলোচনা, আমেরিকানরা কী পাঠাতে পারবে? বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কী দাবি-দাওয়া ছিল এ বিষয়গুলো প্রকাশ হলে আমরা বুঝতে পারব।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার কথা বলেছেন বাণিজ্যসচিব। এটার সঙ্গে ট্যারিফ কমানোর কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু তো করতেই হবে। কারণ আমেরিকানদের পুরো ট্যারিফের বিষয়টা পণ্য রফতানির স্বার্থে। সেজন্য এ অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে।'

বিএনপির শীর্ষ  এ নেতা বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা শুধু ট্যারিফের বিষয় নয়। এর পেছনের আর যে বিষয়গুলো জড়িত আছে সেগুলো সম্মিলিতভাবে আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। বিবেচনাটা গুরুত্বপূর্ণ আগামী দিনের জন্য।

একই সঙ্গে তিনি মনে করেন, অন্তবর্তী সরকারের উচিত পুরো বিষয়টি খোলাসা করা। বাণিজ্য শুধু আমাদের আমেরিকার সঙ্গে নয়, অন্য দেশে সঙ্গেও আমাদের পণ্য রফতানি হয়। সে জায়গাগুলো বিবেচনায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে আমরা কোথায় দাড়াচ্ছি সেটা বুঝতে হবে, পর্যালোচনা করতে হবে।

আপন দেশ/এমএইচ
 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়