
ফাইল ছবি
জুলাই অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে কেউ ‘শহীদ’ পরিবার বা আহতদের প্রাপ্য সুবিধা নিলে জেল ও জরিমানার বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। অধ্যাদেশে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেয়া সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে।
অপরদিকে অধ্যাদেশে আহত ও ‘শহীদদের’ এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
অধ্যাদেশে, জুলাই আহতদের অতি গুরুতর, গুরুতর ও আহত–এ তিন ক্যাটেগরিতে ভাগ করার কথা বলা হয়েছে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা যেকোনো শ্রেণির আহত জুলাই যোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করে বা বিভ্রান্তিকর কাগজাদি দাখিল করে নিজেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য বা আহত জুলাই যোদ্ধা দাবি করে কোনো চিকিৎসা সুবিধা বা আর্থিক সহায়তা বা পুনর্বাসন সুবিধা দাবি করেন বা গ্রহণ করেন- তাহলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে তাকে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা নেয়া সুবিধা বা আর্থিক সহায়তার দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।
অধ্যাদেশে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে শহীদ হয়েছেন এমন ব্যক্তির পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য এবং আহত জুলাই যোদ্ধাদের অনুকূলে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এসব কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- শিক্ষা বা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি; তার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক উপার্জনমুখী কাজের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা; যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা; আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে সহজ শর্তে ঋণ বা এমন সুবিধাদি প্রদান এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা প্রদান।
এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জুলাই অধিদফতর করার উদ্দেশ্য তুলে ধরে সরকার। এরপর ১২ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর’ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।