Apan Desh | আপন দেশ

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: হাসনাত আবদুল্লাহ সাক্ষ্য দেবেন আজ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১০:৫৭, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: হাসনাত আবদুল্লাহ সাক্ষ্য দেবেন আজ 

ছবি : আপন দেশ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নতুন সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তিনি জবানবন্দি দেবেন বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এদিন সকাল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করবে। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মোট ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জন বর্তমানে গ্রেফতার আছেন। এরা হলেন— এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ।

এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এরই মধ্যে বহু ধাপ অতিক্রম করেছে। সর্বশেষ ২৭ নভেম্বর ২১ নম্বর সাক্ষীর জেরা শেষে পরবর্তী দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এর আগে ২৩ নভেম্বর একজন শিক্ষার্থী জবানবন্দি দিয়ে জানান, তিনি আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং পরে তার মরদেহটি পুলিশ নিয়ে যায়। ১৮ নভেম্বর শিক্ষার্থী শান-এ রওনক বসুনিয়া সাক্ষ্য দেন।

এক পর্যায়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি মো. নূরে আলম সিদ্দিক গত ১৬ নভেম্বর জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। তার আগের দিন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন পুলিশের নায়েক আবু বকর সিদ্দিক। ১২ নভেম্বর এসআই (সশস্ত্র) মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে চালানো গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১০, ১১ ও ১৩ নভেম্বর পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীরা জবানবন্দি দেন।

২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। একই দিনে একজন সাংবাদিকও সাক্ষ্য দেন। মোট ৬২ জন সাক্ষীকে এ মামলায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গ্রহণের পর ২৭ আগস্ট মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। যদিও ২৪ জন আসামি এখনো পলাতক, তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত চারজন আইনজীবী শুনানি পরিচালনা করছেন।

৩০ জুন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেয়া হয় এবং ২৪ জুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন আসামির পক্ষে পৃথক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়