Apan Desh | আপন দেশ

মানি লন্ডারিং মামলায় অপু বেকসুর খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

মানি লন্ডারিং মামলায় অপু বেকসুর খালাস

মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু।

মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ রেজাউল করিম তাকে খালাস প্রদান করেছেন। অপু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব। তিনি সাবেক ছাত্রদল নেতা।

মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট খান মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, সম্পূর্ণ বানোয়াট মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দিয়ে মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুকে দীর্ঘদিন কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি ন্যায়বিচারের মাধ্যমে খালাস পাওয়ায় আমরা খুবই সন্তুষ্ট। ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর ৬ জানুয়ারি মুক্তি পান।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বরের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করে র‍্যাব। মামলায় ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) এবং ২০১৩ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৭ ও ৩০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মামলার নথির বরাদ দিয়ে খান মোহাম্মদ মইনুল হাসান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মতিঝিল সিটি সেন্টারে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড করপোরেশনের অফিসে বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুতের অভিযোগ পায় র‍্যাব-৩। সংবাদ পেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে এ এম হায়দার আলীকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে তিন কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় ছয়জনসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা হয়। বাস্তবতা হলো এ ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ও সাজানো।

আইনজীবী বলেন, অপু ছিলেন রাজনীতির প্রতিহিংসা-জিঘাংসার নির্মম বলি মাত্র। ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোট ডাকাতির ৬ দিন আগে ২৩ ডিসেম্বর শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন অপুর প্রচার মিছিলে হামলা করে প্রাননাশের চেষ্টা চালায় তৎকালীন শাসক দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা। গোসাইরহাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামনের সড়কে এ নারকীয় হামলা চালিয়ে মিয়া নুর উদ্দিন অপুর মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং গোটা শরীর থেঁতলে দেয়। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন মুমূর্ষু অবস্থায় নির্বাচনে টাকা বিলি করার হাস্যকর মিথ্যা অভিযোগে অর্থ পাচার আইনের ভূয়া মামলায় তাকে ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি গ্রেফতার করে র‍্যাব। তার আগে র‍্যাব ব্যাগ ভর্তি নতুন টাকার বান্ডিল, চেক বই আর অপুর নির্বাচনী রঙ্গিন পোস্টার উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে অপুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ টাকা দিয়ে নাকি নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র করছিলেন অপু। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়