
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় একদিনে আরও ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ২৪ জন প্রান হারান। অপরদিকে, অনাহার ও অপুষ্টিতে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সোমবার (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী গত ০৬ আগস্ট গাজা শহরে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে জেতুন ও সাবরা মহল্লায় এক হাজারেরও বেশি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। সংস্থাটির দাবি, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও শত শত মানুষ চাপা পড়ে আছে।
রোববার (২৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানায়, টানা গোলাবর্ষণ ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে অধিকাংশ এলাকায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অসংখ্য মানুষের নিখোঁজের খবর পাচ্ছেন জরুরি কর্মীরা, কিন্তু সাড়া দিতে পারছেন না। এদিকে, হাসপাতালে প্রচণ্ড চাপ তৈরি হয়েছে, আহতদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
সংস্থাটি বলছে, ইসরাইলের চলমান অভিযান আরও গভীর উদ্বেগ তৈরি করছে। ময়দানে থাকা দলগুলোর সক্ষমতা এত সীমিত যে, তারা এ ধরনের ভয়াবহ হামলার মোকাবিলা করতে পারছে না।
আরওপড়ুন<<>>‘ইরান কখনও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মাথানত করবে না’
তারা সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজার কোথাও নিরাপদ এলাকা নেই। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সবখানেই বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে ঘরবাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র এমনকি ত্রাণ শিবির পর্যন্ত বোমা বর্ষণ চলছে। গাজা শহর পুরোপুরি দখলে নিতে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক নিয়ে সাবরা এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ দিকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
শহরের আল-জালাআ সড়কে একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে একজন শিশু রয়েছে বলে জরুরি ও অ্যাম্বুলেন্স বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে।
যেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে, সে এলাকায় টানা বোমাবর্ষণ চলছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, চারপাশে অবিরাম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। একই সময়ে ধ্বংস করা হয়েছে উত্তর দিকের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একাধিক ভবনও।
রোববার একদিনেই অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন ইসরাইলি হামলায়। এর মধ্যে ২৭ জন গাজা শহরে এবং আরও ২৪ জন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকাকালে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চিকিৎসা সূত্র।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৯ জনে, এর মধ্যে ১১৫ জন শিশু।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।