
ফাইল ছবি
প্রতিবারই মুসলিম বিশ্বের জন্য এক অপার আত্মিক প্রশান্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয় পবিত্র রমজান মাস। পরবর্তী অর্থাৎ ২০২৬ সালের পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার। এমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
বুধবার (২৫ জুন) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিজরি ১৪৪৭ সনের শাবান মাসের ২৯ তারিখ সূর্যাস্তের সময় চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব অনুযায়ী, ওই দিন চাঁদ দেখা গেলে পরদিন থেকেই রমজান শুরু হবে। তবে ইসলাম ধর্মে চাঁদ দেখা ও ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ওপর ভিত্তি করেই রমজান শুরুর চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হয়। ফলে দেশে দেশে তারিখে ভিন্নতা দেখা দিতে পারে।
আরবি বর্ষপঞ্জির নবম মাস হলো রমজান। এ মাস মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। রমজান মাসে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করা হয়। এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। রমজানের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এ মাসে কুরআন নাজিল হয়েছিল। ফলে মাসটি শুধু সিয়াম সাধনার জন্য নয়, বরং কুরআন অধ্যয়ন ও দান-সদকার জন্যও বিশেষভাবে পরিচিত।
মুসলিমরা এ মাসে নামাজ, তারাবিহ, ইফতার ও সাহরির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন। এছাড়া গরিব-দুঃখীদের সাহায্যের মাধ্যমে সমাজে একধরনের ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চর্চা দেখা যায়।
রমজার মাস শেষে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন—যা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। ঈদের দিন সকালবেলা বিশেষ জামাতে নামাজ আদায় করা হয় এবং আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে দিনটি উদযাপন করা হয়।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।