Apan Desh | আপন দেশ

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা-জানাজা সম্পন্ন ফরিদা পারভীনের

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা-জানাজা সম্পন্ন ফরিদা পারভীনের

ছবি: আপন দেশ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নানা শ্রেণির, পেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীনের মরদেহবাহী গাড়ি। সেখানেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি। 

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ১৫ মিনিটে পৃথিবীর মায়া ছাড়েন লালন কন্যা। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১২টার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয় তার মরদেহ। কিংবদন্তি শিল্পী ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নানা শ্রেণির, পেশার ও বয়সের মানুষ ছুটে আসেন সেখানে।

শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদা পারভীনের মরদেহ। যোহরের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীনের মরদেহবাহী গাড়ি। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে।

ফরিদা পারভীন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল সপ্তাহে দুদিন করে। তবে মাঝেমধ্যে অবস্থার অবনতি হত তার। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে।

আরও পড়ুন<<>>ফরিদা পারভীনের শেষ শ্রদ্ধা শহীদ মিনারে, দাফন হবে কুষ্টিয়ায়

সর্বশেষ গেল ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না তাকে। চিরতরে চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া সাঙ্গ করে।

ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরে বসে লালনসংগীতের চর্চা করেছেন। ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। বাবার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে তাকে।

ফরিদা পারভীনের স্কুলজীবনের শুরুটা মাগুরায়। একাধিক স্কুলে পড়াশোনা শেষে তিনি কুষ্টিয়ার মীর মশাররফ হোসেন বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে কুষ্টিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি এবং একই কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন।

লালনসংগীতে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক পান ফরিদা পারভীন। এর বাইরে ১৯৯৩ সালে ‘অন্ধ প্রেম’ চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ‘নিন্দার কাঁটা’ গানটির জন্য শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী (নারী) হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কার লাভ করেন। লালনশিল্পী হিসেবেই তিনি সমাদৃত। তবে তার কণ্ঠে বেশ ক'টি আধুনিক ও দেশের গান জনপ্রিয় হয়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়