
ছবি: আপন দেশ
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে চাঁদা না দেয়ায় মো. সোহাগ (৪৩) নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে মিলিত হয়।
এসময় তারা, ‘আমার সোনার বাংলায় খুনিদের ঠাঁই নাই’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘এক-দুই-তিন-চার চাঁদাবাজ দেশ ছাড়’, ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা এ বাংলা হবে না’, ‘জনে জনে মানুষ মরে ইন্টেরিম কি করে’, ‘লীগ গেছে যেই পথে, দল যাবে সেই পথে’– সহ বিভিন্ন স্লোগানে প্রকম্পিত করে তুলেন পুরো ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ২৪ এর জুলাইয়ের পর থেকে আমরা দুইটি সংস্কার সবচেয়ে বেশি চেয়েছি। একটি মিডিয়া সংস্কার, অন্যটি প্রশাসনের সংস্কার। ৪৮ ঘন্টা পর এ ঘটনা কেন আমাদের সামনে আসলো? চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে যারা একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে, ক্ষমতায় আসার পরে তাদের তাদের পথের কাঁটা আজকের জুলাই যোদ্ধারাই হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা দল মত নির্বিশেষে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন, সে জুলাই যোদ্ধারাও তাদের হামলা থেকে নিস্তার পাবে না। ইন্টেরিম সরকারের কাছে বিচার চাইতে চাইতে আমরা নাজেহাল হয়ে গেছি। একটা দলের হাই কমান্ড থেকে এ ব্যাপারটা নিয়ে উল্টো ন্যারেটিভ দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী সজিব বলেন, আপনারা সবাই অবগত আছেন জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে কী পরিমাণ নৃশংসতার সাক্ষী এ দেশের মানুষ হয়েছে। আজকে যে হত্যাকান্ডের জন্য আমরা এখানে সমাবেত হয়েছি– আমি সে হত্যাকারী যুবদলের নাম স্পষ্ট করে বলতে চাই। এ বাংলাদেশে আপনাকে দলের নাম ধরে সমালোচনা করা শিখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি সমালোচনা না করেন তবে প্রত্যেকে আবার হাসিনা হয়ে উঠবে, আওয়ামী লীগ হয়ে উঠবে। তাই এ বাংলাদেশে জুলাই যতোদিন বেচে থাকবে ততদিন এ দেশে আবার কোনো আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে দেবো না। সেটা বিএনপি হোক, জামাত হোক বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হোক– কোনোভাবেই এ দেশে আর কোনো সন্ত্রাসবাদ কায়েম হতে দেবো না।
এসময় বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম রেজা বলেন, ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা যখনই আওয়াজ তুলতাম, তখনি আমাদের ট্যাগিং করা হতো। আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে। আমরা আমাদের বয়স চালু রাখতে চাই। দেশে আর কোন ফ্যাসিবাদ কায়েম তৈরি হতে দিবো না। জুলাই বিপ্লবের পর দেশে আর কোন চাঁদাবাজি মেনে নেয়া যায় না। তারেক রহমান বিদেশে বসে কি খেলা দেখছেন? তার দল জুলাই এর পর দেশে খুনের সেঞ্চুরি করে ফেলছে। এ দায় তাকে নিতে হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।