বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি
আমরা শুধু নির্বাচনের জন্যই আন্দোলন-সংগ্রাম করিনি, আমরা দেশকে নতুনভাবে গড়তে চাই। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের প্রস্তাবিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই আমরা এদেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন এ্যানি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, জুলাই আন্দোলন হঠাৎ করে হয়নি, এটি একটি গণঅভ্যুত্থান। এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। যারাই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, তারাই নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কেউ জেল খেটেছেন, কেউ প্রাণ দিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আজ এদেশে গুমের একটি নতুন সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, যা ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।
আরওপড়ুন<<>>‘ফ্যাসিবাদী সাংবাদিকদের জন্ম দিয়েছিলেন বিগত সরকার’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ফ্যাসিবাদের উত্থানের পেছনে কিছু সাংবাদিকের ভূমিকা থাকলেও, আবার সেই সাংবাদিকরাই এর পতনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। হাসিনাকে ‘কোটা রাজাকারেরা পাবে কিনা’ এমন প্রশ্ন করে যে সাংবাদিক সাহস দেখিয়েছেন, তিনি শুধু ফ্যাসিবাদকে প্রশ্নবিদ্ধই করেননি, বরং নতুন এক বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তি গড়ে দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত প্রতিটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। সম্প্রতি একটি প্রধান রাজনৈতিক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে তৈরি একটি কার্টুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই শেয়ার করেছেন—এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জবিসাস সভাপতি ইমরান হোসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন। এতে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব মো. নিজামুল হক নাঈম, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মনিরা শারমিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
