Apan Desh | আপন দেশ

শেখ হাসিনার ছায়ায় চট্টগ্রাম চেম্বার দখলের মিশনে আমিরুল হক

আফজাল বারী

প্রকাশিত: ১৮:৪৮, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৯:০৯, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

শেখ হাসিনার ছায়ায় চট্টগ্রাম চেম্বার দখলের মিশনে আমিরুল হক

আমিরুল হক

২২ জুলাই। ২০২৪ সাল। কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা সরকারবিরোধী গণঅভ্যুত্থান তখন তুঙ্গে। সারা দেশে বেড়ে চলছে মরদেহের স্তুপ। ফ্যাসিস্ট হাসিনা রাজপথে ছাত্রজনতার রক্ত-পিপাসায় উন্মত্ত। সন্তানের বুকে হাসিনার অবিরাম গুলি বর্ষণ দেখে ঘরে থাকতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

রিকশাচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে ছাত্রদের সঙ্গে। রাইফেলের গুলিও তখন ফুরিয়ে আসছে। তার পক্ষ ত্যাগ করছেন দীর্ঘদিন তার পা চাটা গোষ্ঠিগুলোও। ঠিক এ সময় হাসিনার বিষ্ঠাভোগী এক ব্যবসায়ীশ্রেণি সম্মেলন করে। যেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা। 

উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা তখন ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে আমৃত্যু; এমনকি মৃত্যু পরও তাকে সমর্থন দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ওই সম্মেলনে ‘দরবেশ’খ্যাত সালমান এফ.রহমান, মাফিয়া ব্যবসায়ী নেতা নাসা’র নজরুল ইসলাম মজুমদার, হামীম গ্রুপের একে আজাদই শুধু উপস্থিত ছিলেন না। ছিলেন হাসিনা সরকারের কাছ থেকে নানা অনৈতিক সুবিধাভোগী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো: আমিরুল হকও। কারণ, আমিরুল হচ্ছেন এমন এক ব্যবসায়ী যিনি মাত্র ৩ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে শিপ ব্রেকিং ব্যবসায় নেমে এখন অন্তত: ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তার ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে ওঠে মূলত ফ্যাসিবাদী হাসিনার নৈরাজ্যকর আর্থিক খাতের অবাধ লুণ্ঠনের জমানায়। হাসিনার পুরো সময়টাতেই তার ‘বিজনেস টাইকুন’ হিসেবে আবির্ভাব।

সালমান এফ রহমান ও শিল্পমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরষ্কার নিচ্ছেন আমিরুল হক। ছবি: সংগৃহীত

সীকম শিপিং লাইনস, সীকম হোল্ডিংস লি:, অ্যানশিয়েন্ট প্রোপার্টিজ লি:, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, ন্যাশনাল সিমেন্ট মিলস লি:, ডেল্টা এলপিজি লিমিটেড, ডেল্টা শিপইয়ার্ড লিমিটেড, ডেল্টা অ্যাগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লি: (নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর, গোপন নগরে ৪৫ একর জমির ও ১২শ’ কোটি ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে বৃহৎ এই এগ্রো কম্পোজিট), রোকনূর মেরিটাইম লিমিটেড, ট্রান্সচার্ট নেভিগেশন লিমিটেড, (এ দু’টি প্রতিষ্ঠানের আওতায় ৩ হাজার ২শ’ থেকে ২২শ’ ডেডওয়েট টনেজ ধারণ ক্ষমতার ৬০টি লাইটার জাহাজ রয়েছে),  বেঙ্গল স্যাক করপোরেশন লি:, রোকনূর নেভিগেশন লি:,রূপসা ট্যাঙ্ক টার্মিনাল  অ্যান্ড রিফাইনারিজ  লি:, আরিয়ান স্টিভ ডোরস লিমিটেড, প্রিমিয়ার পাওয়ার জেনারেশন লি:, চিটাগাং ব্যাগস লিমিটেড,রোকনূর অ্যাগ্রিফার্ম লি:, রূপসা এডিবল অয়েল অ্যান্ড রিফ্ইানারী এবং  সিটি হল কনভেনশন সেন্টার। এসবই তার ‘সীকম গ্রুপ’র অধিভুক্ত। 

আলোচিত আমিরুল হকের বাবার নাম মোহাম্মদ নূরুল হক। পৈত্রিক বাড়ি চট্টগ্রাম সদরের ১৪২, আলকরন, ফিরিঙ্গিবাজার রোড, চট্টগ্রাম হলেও বিভিন্ন রেকর্ডপত্রে  একাধিক ঠিকানা ব্যবহার করে আসছেন। যেমন : (১) সীকম সেন্টার -১০, শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ বা/এ/ চট্টগ্রাম।  (২) টি. কে. ভবন, (১২ তলা), ১৩, কারওয়ান বাজার,ঢাকা। (৩) রূপসা এডিবল অয়েল রিফাইনারী কোম্পানি লি:এর লাইসেন্স নেয়া হয়েছে প্লট নং-২০, মোংলা বন্দর শিল্প এলাকা, খুলনা- মোংলা হাইওয়ে, বাগের হাটের ঠিকানায়। প্রতিষ্ঠানটির রেজি: ও লাইসেন্স নং-০১-৫৮-১-০৯৮-০০০০৭ (পুরাতন লাইসেন্স নং-৯৬৯, বাগের হাট), শ্রেণী : ‘বি’। 

এছাড়া ‘রোকনূর গ্রুপ’ নামেও আরেকটি গ্রুপ অব কোম্পানি রয়েছে। মোহাম্মদ আমিরুল হকের ভাই মোহাম্মদ এরশাদুল হক, মোহাম্মদ জহিরুল হক, আমিরুল হকের স্ত্রী নাশিরা সুলতানাও মালিকানা রয়েছে ‘সীকম গ্রুপ’ ও ‘রোকনপুর গ্রুপ’ এ মালিকানা রয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের আনুকূল্য নিয়ে তিনি ‘ব্যবসা’র নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। সিমেন্টের কাঁচামাল (ক্লিংকার), সিমেন্ট রফতানি ও ভোজ্য তেলের কাঁচা মাল আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার-ইনভয়েস-ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে পাচার করেন অর্থ। পাচারকৃত অর্থে সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে গড়ে তুলেছেন পর্বতসম সম্পদ। দেড় দশক হাসিনার উচ্চিষ্টভোগী আমিরু হক অতীতে বিভিন্ন কারণে আলোচনায় এসেছেন। সর্বশেষ আলোচনায় আসেন ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর। তরুণ ছাত্র-পেশাজীবীরা অকাতরে প্রাণ দেন হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার দিনও। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরপর কয়েকটি পাল্টা ক্যুর চেষ্টা চলে। এসব ঘটনা ‘ব্যাটারি রিকশালীগ’, ‘আনসারলীগ’র বিদ্রোহ হিসেবে পরিচিতি পায়।

এ ‘আনসার লীগ’র বিদ্রোহের অন্যতম হোতা ছিলেন মো: আমিরুল হক। ওই বছর ২৩ আগস্ট আমিরুলের  নেতৃত্বে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রায় ১৩শ’ আনসারকে তিনি পাঠিয়ে দেন ঢাকায়। বন্দর অরক্ষিত রেখে আমিরুলের নির্দেশে তারা যুক্ত হন সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে। উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি তথা সরকার উৎখাত করা। ২৫ আগস্ট সে চেষ্টা  ব্যর্থ করে দেন ছাত্র-জনতা। এ ঘটনার পর আমিরুল হক কয়েক মাস আত্মগোপনে থাকেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি প্রকাশ্যে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করেন। 

তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরষ্কার নিচ্ছেন আমিরুল হক ( বায়ে), ব্যবসায়িদের সভায় হাজির আমিরুল হক (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

১৬ বছর  তিনি  শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে একের পর এক ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। অথচ পট পরিবর্তনের পর ভোল পাল্টে নিজেকে তিনি ‘হাসিনা আমলে ক্ষতিগ্রস্ত’ বঞ্চিত ও ভুক্তভোগী’ বলে প্রচার করছেন। দরবেশ খ্যাত সালমান এফ.রহমানের গভীর সখ্যতা দিয়ে তিনি তার মালিকানাধীন ব্যাংকের (আইএফআইসি) ঋণ নেন শত শত কোটি টাকা। এ ছাড়া তিনি তৎকালিন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ.রহমান, আমির হোসেন আমু, শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম.এ.মান্নাসহ প্রভাবশালী আওয়ামী নেতারা ছিলো তার ব্যাংক লুটের সহযোগি। ২০২৪ সালে শেষ হাসিনার ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে তিনি অন্তত: ৫০ কোটি টাকা অনুদান দেন।

হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ভোলপাল্টান। বিএনপির নীতিনির্ধারক এক ব্যবসায়ী নেতার আশীর্বাদে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলওএবি) সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। সভাপতি হওয়ার পরপরই এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেন। যা নিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা তার ওপর যারপর নাই অনুসন্তুষ্ট হন। পরবর্তীতে এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা আমিরুল হককে ইঙ্গিত করে বলেন, ১২০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যার মাধ্যমে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। উপদেষ্টার উল্লেখিত এ ‘অসাধু ব্যবসায়ী’ আর কেউ নন। তিনি হচ্ছেন এলওবি’র সভাপতি আমিরুল হক। 

শেখ হাসিনা পালিয়েছেন এক বছরের বেশি সময়। কিন্তু এখনো রয়ে গেছে তার প্রভাব। বিশেষত তার উচ্ছিষ্টভোগী ব্যবসায়ী সমাজে হাসিনার প্রভাব প্রবল। শেখ হাসিনার প্রতি রাজনৈতিক আদর্শগত দায়বদ্ধতা থেকে  চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন করে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন-মর্মে অভিযোগ রয়েছে আমিরুল হকের বিরুদ্ধে। 

আরও পড়ুন<<>> ন্যাশনাল লাইফের তদন্তে দুদক: ২১শ’ অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনক লেনদেন, ৭১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ-পাচার

একটি গোয়েন্দা সংস্থাসূত্র বলছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি থেকে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, মো আমিরুল হক বন্দরের প্রভাব কাজে লাগিয়ে আবারও রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হচ্ছেন । দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন।

তার অব্যাহত ষড়যন্ত্রে প্রমাণ মেলে গত ১২ অক্টোবর। ওই দিন ব্যবসায়ীদের এক সমাবেশে আমিরুল হক দম্ভোক্তি করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন ডিবি হারুনের জমানা নেই। তাই কাউকে পরোয়া করি না। যদি উপদেষ্টারা বন্দরে আসেন, তবে তাদের বাধা  দেয়া হবে। উপদেষ্টা এবং সচিবদের উদ্দেশ্য করে আমিরুল হক বলেন, কে কার পেছনে আছে আমরা জানি।  কে এনএসআইয়ের অফিসে যান, কে কোথায় ভিজিট করে সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। এমন কোনো উপদেষ্টা- সেক্রেটারি নেই এসব মাড়িয়ে চট্টগ্রাম আসবেন। আমি ট্রেড ইউনিয়ন করি না। আমরা ট্রেড বডি। আপনারা (উপদেষ্টা) আসবেন, আমি বাঁধা কিন্তু দেবো। আমার বাঁধা হয়তো অন্যভাবে হবে।  আমি হাত দেখাবো। বলবো, আপনি আসবেন না দয়া করে। আর যদি পা বাড়াতে হয় তাহলে আমাদের বলুন। কোথায় বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আপনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) দুই বছর হয়েছেন উপদেষ্টা হয়েছেন। আমি চল্লিশ বছর হয়েছে এ ব্যবসায় এসেছি। আমাকে শেখানো এতো সোজা নয়। উপদেষ্টাদের বলেন, প্লিজ বিহেভ! এখন ডিবি হারুনের ভয় নেই।

আরও পড়ুন<<>> সিটি ব্যাংক এমডি মুজিববাদী মাসরুর আরেফিন এখন ব্যাংকখাতের ভয়

এদিকে হাসিনার সরাসরি আশীর্বাদপুষ্ট এ ব্যবসায়ী আওয়ামী ডোনার মুহূর্তেই ডিগবাজি খেয়ে বিএনপির স্বজন বনে যাওয়ায় অশ্বস্তি বিরাজ করছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক ব্যবসায়ীদের মাঝে। জানা গেছে, সীকম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো: আমিরুল হক বিএনপির এক স্থায়ী কমিটির সদস্যের মাধ্যমে হঠাৎ করেই ‘সাচ্চা আওয়ামীবিরোধী’ বনে গেছেন। আওয়ামীগ নেতা এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম এবং ব্যবসায়ী আমীর হুমায়ুন চৌধুরী একাট্টা হয়ে এবার চট্টগ্রাম চেম্বার্স অব কমার্স নির্বাচনে জোট গঠন করেছেন। 

জানাগেছে, ফ্যাসিবাদী আব্দুস সালাম চট্টগ্রাম চেম্বারে এখন মেম্বারশিপ নেই। তা সত্ত্বেও আমীর হুমায়ুনের সঙ্গে সমঝোতা করে চেম্বারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় জোট গঠন করেছেন। আর এ জোটের পক্ষ থেকে চেম্বারের সভাপতি পদে নিজের অনুগত আরেক আওয়ামী ব্যবসায়ী ‘সীকম গ্রুপ’র চেয়ারম্যান আমিরুল হককে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ‘ওয়ান টিম প্যানেল’ থেকে সীকম গ্রুপ ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক আরো ৩৬ জন ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম  ‘চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রিজ (সিসিসিআই) মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। এ প্যানেল নিয়ে খোদ বিএনপিপন্থি ব্যবসায়ীদের মাঝেই দানা বেঁধেছে ক্ষোভ। শেখ হাসিনার পা চাটা ব্যবসায়ী কি করে বিএনপি নেতার ভাইকে ধরে চেম্বারের নেতৃত্বে আসতে চাইছেন?

তাদের মতে, যারা হাসিনার পদলেহন করে অর্থ-বিত্তে, ব্যবসা বাণিজ্যে দেড় দশকে ফুলে- ফেঁপে উঠেছেন যে আমিরুল হক তাকেই চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্বে বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে থাকা জাতীয় নেতৃবৃন্দ। ফলে এতো দিন যারা মামলা-মামলার কারণে কোনো ব্যবসাই করতে পারেন নি, কারাভোগ করেছেন-তাদের আত্মত্যাগ এখন বৃথা হতে চলেছে। তারা ঋণ খেলাপি হয়ে বসে আছেন। ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদক এখনো তাদের তাঁড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ আমিরু হকরা আগে যেমন ভালো ছিলেন, পট পরিবর্তনের পর এখনো তাদের পোয়াবারো। বন্দরের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। চেম্বারের নিয়ন্ত্রণও তার হাতেই যেতে বসেছে। শেখ হাসিনা অনুগত এ মাফিয়া দানবদের রুখবে কে?

আপন দেশ/এবি 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়