Apan Desh | আপন দেশ

বৃত্তির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ২ জুন ২০২৫

বৃত্তির প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি : আপন দেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একাধিক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব তথ্য ব্যবহার করে প্রতারক চক্র ভুয়া বৃত্তির প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করছে। পরবর্তীতে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) কোড সংগ্রহ করে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অর্থ আত্মসাত করছে।

সম্প্রতি এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। প্রতারকরা প্রথমে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীর নাম, বিভাগ, এমনকি শিক্ষাবর্ষ জানিয়ে ‘সরকারি বৃত্তি’ প্রদানের কথা বলে। এরপর মোবাইলে একটি ওটিপি কোড পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে সেটি বলতে বলে। ওটিপি হাতে পেয়েই তারা ভুক্তভোগীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে টাকা তুলে নেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী বলেন,  এক অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমার নাম, বিভাগ ও বর্ষ জানায়। তারা বলে আমি ‘মেধা বৃত্তি’ পেয়েছি, এবং টাকাটা পেতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর চায়।

তিনি আরো জানান, অসচেতনতাবশত আমি একাউন্ট নাম্বার দিয়ে ফেলি। এবং পরে দেখি আমার ভিসা কার্ডে থাকা ছয় হাজার টাকা সব নিয়ে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম আকাশ জানান, অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে কল দিয়ে একই প্রক্রিয়ায় আমার পরিচয় ভেরিফাই করে এবং একাউন্ট নাম্বার চায়।

আাকাশ আরো বলেন, চক্রটি আমাকে জানায় আপনার ইসলামি ব্যাংকে বৃত্তির আবেদন এপ্রুভ হয়েছে। বৃত্তির টাকা পেতে ইসলামি ব্যাংক একাউন্ট বা অন্য যেকোন ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার শেয়ার করুন। কিন্তু আমার সন্দেহ জাগে তাই আমি একাউন্ট নাম্বার দেইনি। পরবর্তীতে এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টে দেখি একই প্রক্রিয়ায় তার চার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অসাধু এই চক্রটি।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের আশঙ্কা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনলাইন ফর্ম, বৃত্তির আবেদন বা অভ্যন্তরীণ ডেটাবেইস থেকে তথ্যগুলো চুরি হয়ে থাকতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য ফাঁসের উৎস সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই, তাই এ মুহূর্তে কিছু বলতে পারছি না। খোঁজ নিয়ে আপনাকে জানাবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কিছু কুচক্রী মহল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাত করছে। শিক্ষার্থীদের এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বা কোনো অনলাইন মাধ্যম থেকে তথ্য চুরি হয়েছে কি না, তা আমরা তদন্ত করে দেখবো।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়