
ছবি : আপন দেশ
গোপালগঞ্জে এসিপির সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা জেলায় কারফিউ চলছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) তৃতীয় দিনের মতো জেলাটিতে কারফিউ চলছে। এদিন সকাল থেকেই দেখা যায়, জেলা শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। দু-একটি ছোট যানবাহন ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি।
ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতা এবং সেবাপ্রত্যাশীরা। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গোটা গোপালগঞ্জে এখনও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলমান কারফিউ শেষ হওয়ার পরে পুনরায় কারফিউ জারি করে প্রশাসন। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। ৩ ঘণ্টা শিথিল থাকার পর দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দশনা না দেওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জ জেলায় কারফিউ জারি থাকবে।
সকাল থেকে শহরের রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি রয়েছে অনেকটাই কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছেন না অনেকেই। জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বেরিয়েছেন সাধারণ শ্রমিক ও দিনমজুর। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট। দূরপাল্লার বাস সীমিত চললেও বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের বাস চলাচল। তবে শহরের কাঁচা ও ফলের পাইকারি দোকানগুলোতে রয়েছে ব্যাপক জনসমাগম।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় গোপালগঞ্জ রূপ নেয় রণক্ষেত্র। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জে আসেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক।
এছাড়া গোপালগঞ্জের জেলা কারাগারে হামলার সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জে আসেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. তানভীর হোসেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।