প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা তিন দিন সূচক কিছুটা কমেছে। কিন্তু এতেও বিনিয়োগকারীরা হতাশ নন, বরং বাজারে তাদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।
বিশ্লেষকদের মতে, টানা উত্থানের পর সূচকের এ সংশোধন আসলে বাজারের জন্য ইতিবাচক। এটি একটি সুস্থ ও টেকসই বাজারের ইঙ্গিত দেয়। তাই এ পরিস্থিতিকে হতাশাজনক না ভেবে নতুন করে বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত।
বাজারের চিত্র: উত্থান ও সংশোধন
এর আগে ডিএসইর প্রধান সূচক টানা তিন কর্মদিবসে ২৩৮ পয়েন্ট বেড়েছিল। যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি করে। বিশ্লেষকরা তখন বলেছিলেন, এমন বড় উত্থানের পর কিছুটা সংশোধন আসা স্বাভাবিক। বাস্তবেও তা-ই হয়েছে। গত তিন দিনে সূচক কমেছে ১২৮ পয়েন্ট। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, এটি একটি স্বাভাবিক বাজার চিত্র।
বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা ও লেনদেন
সূচক কমলেও বাজারে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা চোখে পড়ার মতো। যদিও গত তিন দিনে লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে ছিল, তবুও প্রতিদিন গড়ে ৭০০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এটি বাজারে পর্যাপ্ত তারল্য থাকার প্রমাণ।
-
সোমবার: লেনদেন ৯১২ কোটি টাকা
-
বুধবার: লেনদেন ৮৯০ কোটি টাকা
-
বৃহস্পতিবার: লেনদেন ৭০৬ কোটি টাকা
বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় উত্থানের পর অনেক বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নিতে চান। এর ফলে সূচকে কিছুটা চাপ পড়ে। কিন্তু এটি বাজারকে আরও সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত করে।
বৃহস্পতিবারের বাজার পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবারও ডিএসইতে সূচক নিম্নমুখী ছিল। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৩.০৮ পয়েন্ট কমে ৫,৪০৮.০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
-
ডিএসইএস কমেছে ১৩.৫০ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ১,১৭০.৪৩ পয়েন্টে।
-
ডিএসই-৩০ সূচক ২৭.৮১ পয়েন্ট কমে ২,০৯৭.৬৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এ দিনে মোট ৩৯৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে ৭৯টির দর বেড়েছে, ২৬৮টির কমেছে এবং ৫১টির দর অপরিবর্তিত ছিল। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিনের তুলনায় এটি প্রায় ১৮৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কম।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চিত্র
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনের ৫৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার চেয়ে কম। এ দিনে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে, ১৪১টির কমেছে ও ২৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৬.৩৩ পয়েন্ট কমে ১৫,১৬৮.৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা এ সংশোধনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বাজারে তারল্য ধরে রাখা প্রমাণ করে, বাজার এখনও চাঙা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
