ছবি: বাফুফে
বাংলাদেশের ফুটবলে হামজা চৌধুরী, সামিত সোমদের মতো তারকাদের আগমন এবং জাতীয় নারী ফুটবল দলের এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাই করা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অঙ্গনে। এ দেশের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ উন্মাদনা দুটোই বেড়েছে। নতুন বিনিয়োগও আসছে। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গী হতে এবং বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে পাশে থাকতে।
বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সেটা হোক সরকার কিংবা বেসরকারি খাত থেকে। দেশের বাইরে থেকে তথা ইউরোপ থেকেও সহযোগিতা প্রত্যাশী বাফুফে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের বাফুফে ভবন পরিদর্শন ও আলোচনায় সেটি ফুটে উঠেছে।
আলোচনা শেষে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল সাংবাদিকদের বলেছেন, আজকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে আমাদের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের নারী টিম ম্যানেজার এবং নারী রেফারিদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মিলারের সঙ্গে। মূলত আমরা একটা মতবিনিময় সভা করলাম—আইডিয়াস এক্সচেঞ্জ। (উভয় পক্ষের) লক্ষ্য একই জায়গায়—বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সহযোগিতা করা। বাংলাদেশের ফুটবলকে এগিয়ে নেয়া।
সামনের দিকে ইউকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও দেবে বাফুফে। তাবিথ আউয়াল জানালেন, আমরা সামনের দিকে একটা প্রস্তাব দেবো। এ প্রস্তাবের ওপরে আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষর বিবেচনা করবে কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা যায়। কিন্তু একটা পর্যায়ে আমরা চাই যে অতি দ্রুত একটা পার্টনারশিপে চলে আসতে। আমরা সবাই জানি, ইউরোপ হলো দ্য হোম অ্যান্ড অরিজিন অফ ফুটবল। আর আমাদের বর্তমান হেড অফ ডেলিগেশন যিনি এসেছেন, তার বাড়ি কিন্তু বেলজিয়াম। তো আমাদের হয়তো পরবর্তী বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের পক্ষ নিতে হতে পারে (সমর্থন দিতে হতে পারে)।
সামনেই বিশ্বকাপ ফুটবল। এটাকে সামনে রেখে তাবিথ আউয়াল বলেছেন, আগামীতে বিশ্বকাপ আসছে—সবকিছু এগিয়ে নেয়ার সঙ্গে আমরা মনে করছি এটাই সঠিক সময় ভবিষ্যতের জন্য পার্টনারশিপের। তবে এটা মত বিনিময় ছিল। একটু সময় লাগবে আমাদের একটা কনক্রিট জায়গায় আসতে।
আরও পড়ুন<<>>বিপিএলে অধিনায়কের নাম ঘোষণা রাজশাহীর
ইউরোপিয় ইউনিয়ন দেশে অনেক কাজে সম্পৃক্ত। তাবিথ আউয়াল তা উল্লেখ করে বলেছেন, প্রথমত তারা শেয়ার করেছেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যে পুরা বাংলাদেশকেই তাদের ভালো লাগছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু অনেক সামাজিক জায়গায় উন্নয়নমূলক কাজ করছে—সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম, সেফটি প্রোগ্রাম, ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এখন তারা মনে করছেন, স্পোর্টসে আসার নতুন একটা অ্যাঙ্গেলে বাংলাদেশকে উন্নয়নমূলক জায়গায় নিয়ে যেতে পারেন।
বাফুফের ভিশনও ইউর ভালো লেগেছে বলে জানালেন বাফুফে সভাপতি, তাদের ভালো লেগেছে যে আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের একটা গঠনমূলক ভিশন আছে, একটা এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা আছে এবং কিছু কিছু সাফল্যের গল্প আছে। এ সবগুলা কিন্তু সাহায্য করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আল্টিমেটলি যারা ডিসিশন মেকার তাদের কনভিন্স করার জন্য এবং তাদের সহজ করে বুঝানোর জন্য। তারা বিশ্বাস করে যে খেলাতে একটা অবদান রাখলে খেলার মাধ্যমেই পুরো বাংলাদেশের একটা গুডউইল তারাও তৈরি করতে পারবে দুই সংস্হার মধ্যে।
বাংলাদেশে ছেলে ও মেয়ে ফুটবলে কোনও ভেদাভেদ নেই। বাফুফে সভাপতি বললেন,আমরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু ডিসক্রিমিনেট করি না জেন্ডারের মাধ্যমে। আমরা ছেলে ও মেয়েদের প্রোগ্রামগুলোকে সমান সুবিধা দিচ্ছি, সমান সুবিধা দেবো ছেলে এবং মেয়েদের জাতীয় দলকে। সমানভাবে আমরা রিসোর্স প্ল্যানিং ও ইনভেস্টমেন্টগুলোকে বিবেচনা করবো সামনের দিকে।
এরপর নিজেদের প্রস্তাব নিয়ে বাফুফে সভাপতি জানালেন, এখানে যারা নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত আছেন, সবার সঙ্গে বসে মিলে আমরা একটা প্রস্তাব রেডি করবো। আমরা তখন বিবেচনা করবো কোনটা আমাদের শর্ট টার্ম এবং লং টার্ম প্রগ্রেসের জন্য সহজ হবে এবং সেভাবে আমরা প্রোগ্রামটা ডেভেলপ করবো। যখন করবো আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। তবে এর মধ্যে কৌশলগত দিক নিয়েই বেশি থাকবে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































